আমরা কম বেশি সকলেই জানি যে পরকীয়া কোনো দোষের নয় এই আইন পাস করেদিয়েছে সুপ্রীম কোর্ট। তবুও কেন শুধুমাত্র সম্পত্তি ও পরকীয়ার কারণে নির্দোষ মানুষ গুকলৰ প্রাণ যায়। প্রকিয়ায় পাস হবার পরেও কেন খুনের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা , যেটা কিনা শুধু মাত্র সিনেমাতেই সম্ভব। কিন্তু তার বাস্তব রূপ দেখা গেল কোঝিকোড়ের একটি ক্যাথোলিক পরিবারে। ক্যাথোলিক পরিবারে ১৪ বছরের মধ্যে আস্বাভিক ভাবে পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুর কিনারা করল কেরালা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। আর তাই মৃত্যুর কারণ খুঁজতে ৪ ঠা অক্টোবর পারিবারিক কবর খুঁড়তে হয় পুলিশকে। ওই পরিবারের গৃহবধু জলি, তার দ্বিতীয় স্বামী শাজু ও সেই আত্মীয় যে আত্মীয় তাদের সায়ানায়েড এনে দিয়েছিলো তাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ২০০২ সালে অবসর প্রাপ্ত শিক্ষিকা বয়স ৫৭ আন্নাম্মা থমাস মারা যান। তার দিক ৬ বছর পরে তার স্বামী ৬৬ বছরের টম থমাস মারা যান। তারপর ২০১১ সালে তাদের ৪০ বছরের রয় থমাস মারা যান এরপর ২০১৪ সালে আন্নাম্মা থমাসের ভাই মারা যান ঠিক একই ভাবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যাই বিস্ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে তার এদের ৪ জনকে সাইরো মালাবার গির্জার কবরখানায় সমাধি দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে তাদের আত্মীয়র ২ বছরের মেয়ে মারা যান। থি তার কয়েক মাস পরেই তার মা ২৭ বছরের সিলির মৃত্যু হয়। আর তার মধ্যেই রয় -এর wife আর সিলির স্বামী দুজনেই বিয়ে করেন। আর পরিবারের মালিকানা দাবি করেন। কিন্তু আমেরিকায় থাকা টমের ছোট ছেলে মোজো তা বিরোধ করেন আর পরিবারের ধারাবাহিক ভাবে ৬ জনের মৃত্যু তে সন্দেহ প্রকাশ করে অভিযোগ দায়ের করেন। তবে পুলিশ মৃতদেহ গুলিকে খতিয়ে দেখে তাদের দেহাবশেষ থেকে সায়ানায়েড পাই ফরেন্সিক টীম। পুলিশ সূত্রের, খবর নিখুঁত ষড়যন্ত্র করে একে একে পরিবারের ৬ জনকে খুন করা হয়েছে ঠিক একই ভাবে।
