ডিজি বাংলা ২০ সেপ্টেম্বর: ২০২৪ সাল শেষের পথে। মাঝে এক বছর,তারপর ২৬ এর গোড়াতেই হয়তো বিধানসভা নির্বাচন। সুতরাং এখন থেকেই দলের আভ্যন্তরীণ সমস্যা মিটিয়ে দলকে সংগঠিত করতে না পারলে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন জেতা তৃণমূলের পক্ষে ভীষণ কঠিন হবে। এই কথাটি আর কেউ বুঝুক না বুঝুক স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছেন। যার ফলে আগামী দিনে দলকে নিয়ন্ত্রণ করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছেন।
রাজ্যে ঘটে যাওয়া একের পর এক দুর্নীতি,সন্দেশখালীতে শাহজাহানের মতো লোকেদের অন্যায় অত্যাচার,স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ,গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে জেলা পরিষদ সর্বস্তরেই স্বজন পোষণ,সর্বশেষ আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুন নাড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল সরকারের ভীত। এই পরিস্থিতিতে ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে জেতা তৃণমূল কংগ্রেস তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। কিভাবে তিনি এই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করবেন?
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রী ভরসা রাখছেন দলীয় সংগঠনের উপর। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবার নিজেই তিনি দলের সাংগঠনিক বিষয়গুলি দেখবেন।
বিগত লোকসভা নির্বাচনের পরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দলীয় স্তরে ব্যাপক রদবদল হবে। সেই মোতাবেক একটি পরামর্শদাতা সংস্থা এই পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। কিন্তু সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং ওই পরামর্শদাতা সংস্থা কে এই কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি এবার থেকে সংগঠন মমতা নিজেই দেখবেন? দলের আভ্যন্তরীণ খবর উৎসবের মরশুম শেষ হবার পরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংগঠনিক রল-বদলে গুরুত্ব দেবেন এবং ২০২৪ সালের মধ্যেই সংগঠনে তিনি ব্যাপক রদবদল ঘটাবেন বলেই সংবাদ সূত্রের খবর।
