গুণগত মান পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ বহু নামিদামি ব্রান্ডের ওষুধ

ডিজি বাংলা ২৭ সেপ্টেম্বর: প্রচন্ড গ্যাসে কষ্ট পাচ্ছেন? ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মেসিতে গিয়ে “প্যান-ডি” কিনলেন। অথচ আপনি জানেনই না এই নামি ব্রান্ডের ওষুধ গুণগতমান পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেছে। শুধু “প্যান-ডি” নয়,এরকম প্রায় ৫০ টিরও বেশি ব্র্যান্ডের ওষুধ ড্রাগ টেস্টে পুরোপুরি ফেল করেছে। এইরকম ফেলের তালিকায় নাম রয়েছে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট ”শেলক্যাল” এন্টিবায়োটিক “গ্লিমেপিরাইড” “ক্লেভাম- ৬২৫”,উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ “টেলমিসার্রটন” সহ আরো অর্ধশতাধিক ওষুধ।দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ সংস্থা “সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন(CDSCO)” এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই সমস্ত ওষুধগুলি তাদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। বাজার চলতি এমন ওষুধের গুণগতমান ঠিক আছে কিনা এই বিষয়ে সারা দেশ জুড়ে নজরদারি করে এই সংস্থা। এই নজরদারিতে কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের সহায়তা করে রাজ্যের ড্রাগ আধিকারিকরা। তাহলে প্রশ্ন থেকেই যায় সাধারণ মানুষ ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন মোতাবেক যে সমস্ত ওষুধগুলি কেনে সেগুলি যদি নিম্নমানের হয় তাহলে তারা যে প্রতারিত হচ্ছে তার বিরুদ্ধে কে ব্যবস্থা নেবে।? যে সমস্ত ডাক্তারবাবুরা ওই সমস্ত ব্রান্ডের ওষুধগুলি লেখেন তাদেরও কি এই ওষুধগুলো লেখার ব্যাপারে আরো বেশি সতর্ক হওয়া উচিত নয়? এ বিষয়ে ডাক্তারবাবুদের বক্তব্য তাদের কাছে কোন ওষুধ গুণগত মানে ফেল করেছে সেই তথ্য ঠিকমতো আসে না। আর সবচেয়ে বড় কথা সঠিক এবং নির্দিষ্ট মানের ওষুধ বিক্রি করার দায়িত্ব ঔষুধের দোকানের। তারা সেটা ঠিকঠাক করছে কিনা সেটা দেখার দায়িত্ব জেলার ড্রাগ আধিকারিকদের। তবে কথা ঠিক এই ধরনের ওষুধে আদতে কোন কাজই হবে না উল্টে ক্ষতির সম্ভাবনায় বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করেন ডাক্তারদের