ডিজি বাংলা ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪: দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরে প্রাণঘাতী লড়াই চলছে দুই প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে। একটা সময় ইউক্রেন ছিল অবিভক্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের সদস্য রাজ্য। তারপর সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙে গেলে ইউক্রেন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে।
সম্প্রতি ইউক্রেনের সামরিক হামলায় প্রাণ হারিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর একজন শীর্ষকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর কিরিলভ।
আর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চরম ক্ষিপ্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন এই মৃত্যুর প্রতিশোধ হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি কে পুতিন মৃত্যুর প্রহর গুনতে বলেছেন।
রাশিয়ান সেনাকর্তার মৃত্যুর সমস্ত দায় রাশিয়া চাপিয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপর। সংবাদ সূত্রের খবর গতকাল রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন ইগর কিরিলভ। এই নিহত সেনাকর্তা রাশিয়ার “নিউক্লিয়ার, বায়োলজিক্যাল এন্ড কেমিক্যাল প্রটেকশন ট্রুপস” নামে একটি সংগঠনের শীর্ষ কর্তা ছিলেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ইলেকট্রিক স্কুটারের ভিতরে লুকিয়ে রাখা বোমা বিস্ফোরণে এই সেনাকর্তা এবং তার একজন সহযোগী ঘটনাস্থলেই মারা যান। একজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্তার এই মৃত্যু রাশিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে এক বৃহৎ প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। যেভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে তাতে করে একটা বিষয় স্পষ্ট ইউক্রেনের গোয়েন্দা বাহিনী রাশিয়ার অভ্যন্তরে যথেষ্ট সক্রিয়। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সাথেই গর্জে উঠেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এক বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কে মৃত্যুর জন্য তৈরি থাকতে বলেছেন। পুতিন বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নিজের হাতে তার মৃত্যুদণ্ডে স্বাক্ষর করলেন, এমনটাই জানিয়েছে রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা।
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে সমগ্র বিশ্ব এই মুহূর্তে খুবই চিন্তিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন এবং ভাবি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবিলম্বে এই প্রাণঘাতী যুদ্ধের অবসান চেয়ে বার্তা দিয়েছেন।
