শহর

দু চারদিন লোক দেখানো টোটো ধরা,শহরে টোটোর উৎপাত অব্যাহত

[4:47 PM, 10/7/2024] JB: ডিজি বাংলা ৭ অক্টোবর: “টোটোর শহর, কৃষ্ণনগর” এই শব্দবন্ধ এখন কৃষ্ণনগরের পক্ষে খুবই মানানসই। এই মুহূর্তে শহরের বুকে সারাদিন কত টোটো গাড়ি দাপিয়ে বেড়ায় তার হিসাব পৌরসভা বা জেলা প্রশাসনের কাছে আছে কিনা সন্দেহ। মাসকয়েক আগে পৌরসভার পক্ষ থেকে ফলাও করে শহরময় প্রচার করা হয়েছিল শহরের বাইরের অর্থাৎ পঞ্চায়েত এলাকার টোটো পৌর এলাকায় ঢুকতে পারবে না। কয়েকদিন শহরের ঢোকার বিভিন্ন রাস্তায় সিভিক ভলেন্টিয়ার্স দিয়ে টোটো গাড়ি আটকানো এবং তাদের পৌরসভার দেওয়া লাইসেন্স দেখা হয়। বেশ কিছুদিন শহরে যানজট যথেষ্ট হালকা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি আবার আগের মতই। সারা শহরের বুকে যথেচ্ছ ভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে টোটো দানব। শহরের মূল রাস্তাগুলির ডাইনে-বাঁয়ে যেখানে খুশি দাঁড় থাকছে প্যাসেঞ্জারের অপেক্ষায়। নির্দিষ্ট টোটো স্ট্যান্ড থাকা সত্ত্বেও সেখানে টোটো গাড়ি বড় একটা দাঁড়ায় না। মূল রাস্তা ওয়ান-ওয়ে হওয়ার দরুন টোটো গাড়ি বিভিন্ন গলির মধ্যে দিয়ে ট্রাফিক পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আবার মূল রাস্তায় উঠে যাচ্ছে। ফলে যানজট আরও বেড়ে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে কৃষ্ণনগর পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল শহরে পৌরসভার অনুমোদিত টোটোর সংখ্যা চৌদ্দশোর কাছাকাছি। অথচ এখনো প্রতিদিন শহরের বুকে গড়ে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার টোটো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। সর্বোপরি শহরের গলি রাস্তা গুলি অত্যন্ত সংকীর্ণ এবং ভাঙ্গাচোরা। প্রতি মুহূর্তে যাত্রীদের প্রাণ হাতে করে টোটোয় যাতায়াত করতে হয়। পৌরসভা এবং জেলা প্রশাসন এই সমস্ত রাস্তাগুলো উন্নয়নের ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ হচ্ছে। আলোয় ঝলমল করছে শহর,অথচ প্রদীপের নিচে যে এত অন্ধকার সে বিষয়টি সম্পর্কে পৌরসভা অবগত আছে কি? এমনটাই প্রশ্ন করছে কৃষ্ণনগরের সাধারণ মানুষ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button