জেলা

বেলডাঙ্গার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে,জনজীবন স্বাভাবিক

ডিজি বাংলা ১৮ নভেম্বর ২০২৪: কার্তিক পুজোর প্যান্ডেলে এলইডি বোর্ডে একটি আপত্তিকর মন্তব্য লেখাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বেলডাঙ্গা। ঘটনায় দুই গোষ্ঠীর মোট সাতজন আহত হয়েছে বলে সংবাদ সূত্রে জানা গেছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনার সূত্রপাত কার্তিক পূজোর প্যান্ডেলে লাগানো একটি এলইডি বোর্ডে আপত্তিকর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে।  পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য SAP এবং RAF কে মাঠে নামাতে হয়।হয়। জেলা পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় বৃহত্তর অশান্তির হাত থেকে বেলডাঙা মুক্তি পেলেও এখনো সারা বেলডাঙা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে বলে সংবাদ সূত্রে জানা গেছে।
মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক ভাবে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তবে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হবে। ঘটনার জেরে বেশ কিছু ট্রেন মাঝপথে দাঁড়িয়ে যায়। যদিও পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। রবিবার বেলডাঙ্গায় কার্তিক লড়াই অনুষ্ঠান থাকার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশি ব্যবস্থার করা হয়।
এদিকে বেলডাঙার ঘটানাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বেলডাঙ্গার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি। অপরদিকে অধীর চৌধুরী এই ঘটনার জেরে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। সি পি এর পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে এবং যারা এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্ৰহণের দাবি জানানো হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বেলডাঙ্গা বাসীর উদ্দেশ্যে গুজবে কান না দেবার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এবং তৎপরতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে। ফলে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং আপাতত শান্ত। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জেলা বাসীর উদ্দেশ্যে সম্প্রীতির বার্তা পাঠান হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হলেও পরিস্থিতি যে নিয়ন্ত্রণে সেটা স্পষ্টই বোঝা গেল সাধারণ মানুষ বক্তব্যে। দোকানপাট,বাজার হাট সবই খোলা রয়েছে। জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক। শহরের বিভিন্ন এলাকায় মানুষ সাধারণভাবেই কাজকর্মে বেরিয়েছে অর্থাৎ এক কথায় বলা যেতে পারে, গত দুদিন আগের ঘটে যাওয়া ঘটনা বেলডাঙ্গা বাসির উপরে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button