
ডিজি বাংলা ৭ অক্টোবর: কৃষ্ণনগর পৌরসভার অভ্যন্তরে যে সমস্ত গার্লস স্কুল আছে,সেই সমস্ত স্কুলের মেয়েদের যাতায়াতের জন্য কৃষ্ণনগর পৌরসভা চালু করল বিনামূল্যে স্কুল বাস পরিষেবা। গতকাল কৃষ্ণনগর পৌরসভার পৌর ভবনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস এই বাস পরিষেবার উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস দাবি করেন সারা রাজ্যের মধ্যে কৃষ্ণনগর পৌরসভা সর্বপ্রথম বিনামূল্যে বাস পরিষেবার সূচনা করলো। তিনি এই পরিকল্পনা গ্রহণ এবং রূপায়নের জন্য কৃষ্ণনগর পৌরসভার চেয়ারপারসনের ভূয়শী প্রশংসা করেন।
কিন্তু এই পরিষেবা উদ্বোধনের সাথে সাথেই দলের অভ্যন্তরে শুরু হয়ে গেছে সমালোচনার ঝড়। গতকাল অনুষ্ঠান মঞ্চে অধিকাংশ কাউন্সিলারের অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এ প্রসঙ্গে 19 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৌগত কৃষ্ণ দেব বলেন,” প্রকল্প নিঃসন্দেহে ভালো কিন্তু অধিকাংশ কাউন্সিলরকে অন্ধকারে রেখে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা পনেরো বছরের পুরনো বাস এই প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। একটা বাসের বয়স প্রায় ষোল বছরের বেশি আরেকটি প্রায় উনিশ বছরের কাছাকাছি। এই বাসগুলোর ফিটনেস যথাযথ আছে কিনা সন্দেহ আছে। যেহেতু এই পনেরো বছরের বিবাদ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে,সুতরাং এই পরিস্থিতিতে ভগবান না করুন কোনো দুর্ঘটনা যদি ঘটে তাহলে তার দায়ভার কে নেবে।” দলের অভ্যন্তরে এই ক্ষোভ প্রসঙ্গে চেয়ারপারসন রীতা দাস বলেন,” রীতিমতো বোর্ড মিটিং করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,তারপর টেন্ডার করা হয়েছে। যারা লোয়েস্ট রেটে টেন্ডার জমা দিয়েছে তাদেরকেই বরাত দেওয়া হয়েছে।হ্যাঁ,বাস অবশ্যই পুরনো কিন্তু এই বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেট আছে। কলকাতা হাইকোর্টে পনেরো বছরের বেশি পুরাতন বাস সংক্রান্ত যে মামলা চলছে সেটা কিন্তু কলকাতা এবং হাওড়ার জন্য। আর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,”সে বিষয়টা নিশ্চয়ই পৌরসভা দেখবে।” অঘটন কিছু ঘটলে দায়ভার কে নেবে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সমস্ত দায়ভার চেয়ারম্যানের উপরে বর্তাবে। সুতরাং যারা সমালোচনা করছেন তাদের চিন্তা করার কোনো কারণ নেই