সাড়ম্বরে কৃষ্ণনগরে পালিত হলো নদীয়া জেলা দুর্গাপূজা কার্নিভাল-২০২৪

ডিজি বাংলা ১৫ অক্টোবর:- রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এবং নদিয়া জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত সাড়ম্বরে উদযাপিত হল নদীয়া জেলা দূর্গা পূজা বিসর্জন কার্নিভাল-২০২৪। নদীয়া জেলাতে এই কার্নিভালের সূচনা হয় ২০২৩ সালে। সেই বছর কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয় কল্যাণী শহরে। ২০২৩ সালে কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয় রানাঘাট শহরে। এবারে সেই কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হলো নদীয়ার সদর শহর দুর্গাপূজার সৃষ্টি ভূমি কৃষ্ণনগরে।
কৃষ্ণনগর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের মাঠ থেকে এই কার্নিভালের সূচনা হয়। কার্নিভালের উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবং কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস। প্রশাসন সূত্রে জানা যায় কৃষ্ণনগর পৌর এলাকা থেকে ৮ টি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে আরো ১৪ টি মোট ২২ টি পূজা কমিটি তাদের প্রতিমা এবং ট্যাবলো নিয়ে এই কার্নিভালে যোগদান করে। অনন্ত হরি মিত্র রোড, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রোড (হাই স্ট্রিট) ধরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং ভ্রাম্যমান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহযোগে বিভিন্ন পূজা কমিটি তাদের প্রতিমা নিয়ে কদমতলা বিসর্জন ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। অসংখ্য কৃষ্ণ নাগরিক এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার অসংখ্য মানুষ এই অনুষ্ঠান দেখবার জন্য রাস্তার দুদিকে জমায়েত হয়।
অনুষ্ঠান শেষে সকলেই নিরাপদে বাড়ি ফিরে গেলেও একটা প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়। যতটা সুশৃংখলভাবে এই দুর্গাপূজা কার্নিভাল জেলা পুলিশ প্রশাসন সম্পন্ন করল,আগামী কালীপূজা এবং জগদ্ধাত্রী পূজার যে বিসর্জন হবে সেখানেও কি এই শৃংখলা দেখা যাবে? সাধারণ মানুষের মধ্যে এই প্রশ্ন জেগে ওঠার কারণ দুদিন আগেই দুর্গাপূজার বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল এবং মারামারি হয়।আশ্চর্যের বিষয় কৃষ্ণনগর শহরের প্রাণকেন্দ্র চ্যালেঞ্জ মোড়ে অসংখ্য পুলিশের উপস্থিতির মধ্যেও এই ধরনের মারপিট হয়।সেকারণেই সাধারণ মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত।