হত্যা না আত্মহত্যা-কৃষ্ণনগরে ছাত্রীর মৃত্যুতে উঠে আসছে নয়া তথ্য
ডিজি বাংলা ১৮ অক্টোবর: প্রথমে ধর্ষণ তারপর পুড়িয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে কৃষ্ণনগরের ছাত্রীর মৃত্যুতে অভিযুক্ত যুবক রাহুল বসুর বিরুদ্ধে। কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃতা তরুনীর ময়নাতদন্ত হয়। সেই রিপোর্ট প্রকাশ হবার পর এই মৃত্যু নিয়ে নানান প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মৃতা তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে এমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকি তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে এমন কথাও বলা হয়নি ঐ রিপোর্টে। শুধু মাত্র অগ্নি দগ্ধ হয়ে তরুণীর মৃত্যু হয়েছে এমনটাই জানা গেছে ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে।এখন প্রশ্ন হল এই আগুন সে নিজেই নিজের গায়ে লাগিয়েছে না অন্য কেউ তার গায়ে আগুন লাগিয়েছে ।
মৃতা তরুনীর পরিবারের তরফ থেকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে ও যুবকের সাথে ওই স্কুল ছাত্রীর প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল এবং তরুণীর বাড়িতেও ওই যুবকের যাতায়াত ছিল। উভয়ের সম্পর্কের কথা ধৃত যুবকের মা’ও স্বীকার করে নিয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি উভয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক থেকেই থাকে তাহলে কি এমন ঘটেছিল যাতে করে ওই যুবক ওই যুবতীকে পুড়িয়ে মারল? নাকি সম্পর্কের অবনতির কারণেই ওই যুবতী নিজেই আত্মহত্যা করল? এই সমস্ত প্রশ্নই এখন বারংবার ঘুরে ফিরে আসছে।
ধৃত যুবকের মায়ের বয়ান অনুযায়ী ঐদিন তার ছেলে রানাঘাটে ছিল এবং কোন একজন বান্ধবীকে নিয়ে সে সিনেমা দেখতে গিয়েছিল। কিন্তু সন্ধ্যার পরে ধৃত যুবককে কলেজের মাঠের আশেপাশে দেখা গেছে এমনকি এবং মৃত যুবতীর টাওয়ার লোকেশনও কলেজের মাঠ দেখাচ্ছে। এখন প্রশ্ন? সম্পর্কের টানাপোড়েনে আত্মহত্যা না হত্যা? এদিকে যুবককে পুলিশ সাতদিন হেফাজতে পেয়েছে।
বিভিন্ন দিক পুলিশ খতিয়ে দেখছে। টাওয়ার লোকেশন বিশ্লেষণ করছে। কলেজের বিভিন্ন রাস্তার বিভিন্ন জায়গা যে সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা আছে সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি যাচাই করা হচ্ছে এবং যে বান্ধবীর সাথে ধৃত যুবক রাণাঘাটে সিনেমা দেখতে গিয়েছিল বলে দাবি করছে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।