রাজ্য

কৃষ্ণনগরে ছাত্রী মৃত্যু-আত্মহত্যা তত্ত্বেই সিলমোহর দিতে চলেছে পুলিশ

ডিজি বাংলা ২১ অক্টোবর: কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার ভোরবেলায় কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে আশ্রমপাড়া দুর্গা মন্ডপের ভিতরে পাওয়া যায় অর্ধনগ্ন-অর্ধ দগ্ধ অবস্থায় এক যুবতীর মৃতদেহ। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জেলা সদর থেকে রাজ্য রাজনীতি। বিভিন্ন মহল থেকে দাবী করা হয় ওই যুবতীকে গণধর্ষণ করে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। অভিযোগের আঙুল ওঠে ওই যুবতীর পুরুষ বন্ধুর বিরুদ্ধে। জনরোষের চাপে পড়ে জেলা পুলিশ ওই যুবতীর পুরুষ বন্ধু রাহুল বোস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। ওই যুবতীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হয় নোংরা রাজনীতি। কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি শুভঙ্কর সরকার থেকে শুরু করে রাজ্যের বিরোধীদল নেতা শুভেন্দু অধিকারী, সিপিআইএমের জেলা স্তরের নেতা থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল সবাই ছুটে আসে ওই মৃত তরুনীর বাড়িতে।
শুভেন্দু অধিকারী ঐ মৃত তরুনীর বাড়িতে এসে দাবি করেন এই যুবতীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন ময়না তদন্তের যে প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে সেই রিপোর্ট সর্বৈব মিথ্যা। চক্রান্ত করে ডাক্তাররা এই রিপোর্ট পাল্টে দিয়েছে। তিনি উচ্চতর পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানান।
কিন্তু ময়না তদন্তে রিপোর্ট আসার পর বিষয়টি অনেকটাই পরিষ্কার হয়েছে। ময়না তদন্তে কোনরকম ধর্ষণ বা শারীরিক নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র অগ্নি দগ্ধ হয়ে ওই তরুণী মারা গেছে এমনটাই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী যতই ধর্ষণ এবং নির্যাতনের তত্ত্ব খাড়া করুক না কেন পুলিশ কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপরই ভরসা রাখছে। পুলিশের অনুমান সম্পর্কে জটিলতার কারণেই ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button