ডিজি বাংলা ২১ অক্টোবর: “অভয়া” কান্ডের পর পশ্চিমবঙ্গের নারী সমাজের এক বিশাল অংশ নারী নিরাপত্তার দাবিতে রাতে রাস্তা দখলের আন্দোলনে সামিল হয়েছিল। কিছুদিন সেই আন্দোলন নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা উত্তাল হলেও আদতে কি নারী নিরাপত্তার কোন উন্নতি ঘটেছে রাজ্যে? পরিস্থিতির কি কোন পরিবর্তন হয়েছে? শান্তিপুরে শিশু নির্যাতন,কৃষ্ণনগরে ছাত্রী হত্যা, এবার তাহেরপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় গাড়ি চাপা দিয়ে গৃহবধূকে খুন,এসব কিছুই প্রমাণ করছে রাজ্যে নারী নিরাপত্তা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই আছে। পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হয়নি।
তাহেরপুরের গৃহবধূ ৩০ বছরের তন্দ্রা বিশ্বাস,স্বামী সুজন বিশ্বাসের মোটরসাইকেলে করে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ রানাঘাট-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক ধরে তাহেরপুরের বাড়িতে ফিরছিল। সেই সময় খামার শিমুলিয়া এলাকায় এক ইঞ্জিন ভ্যানচালক তন্দ্রা দেবীর উদ্দেশ্যে কটুক্তি করলে ওই ইঞ্জিন ভ্যানচালক এর সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সুজন বাবু এবং তার স্ত্রী তন্দ্রা দেবী। সুজন বাবুর বয়ান মোতাবেক ওই ইঞ্জিন ভ্যানচালক এরপর ফোন করে জনৈক গাড়িচালককে গাড়ি নিয়ে আসতে বলে। ওই গাড়িচালক আসার পর ভ্যানচালক এবং গাড়ি চালক উভয়েই সুজন বাবুকে মারধর করতে শুরু করে। ইতিমধ্যে সুজন বাবুর ফোন পেয়ে এলাকার কিছু পরিচিত লোকজন ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। স্থানীয় লোকজন আসার সাথে সাথেই ওই গাড়িচালক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। সমস্যা মিটে গেছে এই ভেবে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে সুজন বাবু তার স্ত্রী তন্দ্রা দেবী এবং পরিচিত লোকজন যখন কথাবার্তায় ব্যস্ত সেই সময় আলো নিভিয়ে ওই ছোট গাড়িটি খুব দ্রুত বেগে ছুটে আসে এবং রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা তন্দ্রা দেবী এবং অপর এক মহিলাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়।
