রাজ্য

অধীর নেই, উপনির্বাচনে জোট হল না সিপিএম-কংগ্ৰেসের

ডিজি বাংলা ২৩ অক্টোবর: রাজ্যের ছটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ এবং নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ইতিমধ্যে ঘোষণা করে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দলকে টেক্কা দিয়ে সবার আগে এই ছটি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে  রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপি। পরের দিনই তালিকা ঘোষণা করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার বামেরাও এই ছটি আসনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করে দিল।
আর জি কর কাণ্ডের পর এই প্রথম রাজ্যে কোন নির্বাচন হতে চলেছে। স্বভাবতই এই নির্বাচন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে আ্যসিড টেস্ট। এই নির্বাচনের ফলাফলই ইঙ্গিত দেবে এই মুহূর্তে রাজ্যে শাসক দলের জনপ্রিয়তা নিম্নগামী না ঊর্ধ্বগামী। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা এবং অন্যান্য ইসুগুলি কিভাবে বাম এবং বিজেপি ব্যবহার করতে পারে সেটাই দেখার বিষয়।
বামফ্রন্টের ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে সিতাই আসনে লড়াই করছে ফড়োয়ার্ড ব্লক প্রার্থী অরুণ কুমার বর্মা। অন্যদিকে মাদারিহাটে প্রার্থী হচ্ছেন আরএসপির পদম ওঁরাও। সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হলো এবারে নৈহাটি আসনটি বামফ্রন্ট ছেড়ে দিয়েছে সিপিআইএম (এল)কে। নৈহাটি কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন সিপিআইএম(এল)এর দেবজ্যোতি মজুমদার। মেদিনীপুর আসনটি দেওয়া হয়েছে সিপিআই কে। ওখানে প্রার্থী হচ্ছেন সিপিআই এর মনি কুন্তল খামরুই। সিপিআইএম প্রার্থী দিচ্ছে একমাত্র বাঁকুড়ার তালডাংরা আসনে। প্রার্থী হচ্ছেন দেবকান্তি মহান্তি।এখনো পর্যন্ত হাড়োয়া কেন্দ্রে তাদের প্রার্থী কে হবে সে বিষয়ে বামফ্রন্ট কোনসিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
প্রতিটি দলই এবারের উপনির্বাচনে মূলত স্থানীয় প্রার্থীদের উপরই ভরসা রেখেছে। বিজেপির প্রার্থী তালিকা দেখলেই বোঝা যায়, যাদেরকে এবারে প্রার্থী করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই স্থানীয় নেতৃত্ব।
বিজেপির প্রার্থী তালিকা:
মাদারিহাট — রাহুল লোহার
সিতাই       —- দীপক কুমার রায়
মেদিনীপুর —- শুভজিৎ রায়
তালডাংড়া —– অন্যনা রায় চক্রবর্তী
হাড়োয়া     —— বিমল দাস
নৈহাটি        —— রূপক মিত্র

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা:
সিতাই ——— সঙ্গীতা রায়
মাদারিহাট — জয়প্রকাশ টোপ্পো
মেদিনীপুর — সুজয় হাজরা
হাড়োয়া ——- শেখ রাফিউল ইসলাম
তালডাংরা — ফাল্গুনী সিংহ বাবু
নৈহাটি——- সনৎ দে
এখন অপেক্ষা। আগামী ২৩ নভেম্বরে জানা যাবে এই সমস্ত প্রার্থীদের ভাগ্যে কি লেখা আছে। বিজেপি কি পারবে আরজিকর কান্ডের ফায়দা লুটতে কিংবা বামেরা পিছন থেকে জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করলেও বাস্তবে মানুষ কি তাদের আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার জন্য ভোট দেবে,না শাসক দলকেই আবার মানুষ সমর্থন জানাবে? এসব কিছুই জানতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button