ডিজি বাংলা ৭ জানুয়ারি(মঙ্গলবার) ২০২৫: জগন্নাথ সরকার, রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির নির্বাচিত সাংসদ। এলাকার সমস্যার কথা, উন্নয়নের কথা সংসদে তুলে ধরা তার দায়িত্ব কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। কিন্তু কোন সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিককে আশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করা সেটাও কি তার দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে? অথচ এমনটাই ঘটলো কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির অধীনস্থ টুঙ্গী-ভাজনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-সমিতির সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে। গতকাল টুঙ্গি-ভাজনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-সমিতির সদস্য নির্বাচন হবার কথা ছিল। কিন্তু কৃষ্ণগঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনিবার্য কারণবশত এই উপ-সমিতির সদস্য নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেন। আর তাতেই রেগে খয়ের খাঁ হয়ে যান রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ। সমস্ত কাজ ফেলে তিনি ছুটে চলে আসেন কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক অফিসে বিডিওকে শিক্ষা দেবার জন্য। কিন্তু ব্লক অফিসে এসে বিডিওকে না দেখতে পেয়ে জগন্নাথ বাবুর মাথায় রক্ত চড়ে যায়। তাকে উচ্চস্বরে বলতে শোনা যায় ভিডিও তৃণমূলের দালাল, ঘুষ দিয়ে পাস করা ভিডিও, ওকে আমি দেখে নেব, কোথায় পালাবে? ওর বাবার ঠিকানা তো আছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, টুঙ্গি-ভাজনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যা ১৮ জন। এরমধ্যে বিজেপি থেকে নির্বাচিত হয়েছে ১২ জন তৃণমূলের ৬ জন।
বিডিওর পক্ষ থেকে সভা স্থগিত করার কারণ হিসাবে জানান হয়েছে উপ-সমিতির সদস্য নির্বাচনে যিনি প্রিসাইডিং অফিসার ছিলেন তার বিশেষ সমস্যার জন্য সাময়িক ভাবে সভা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সভার দিন চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
