জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের পালটা সংগঠন তৈরি হলো-জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন
ডিজি বাংলা ২৭/১০/২৪:
অনিকেত, দেবাশীষ, কিঞ্জলদের পাল্টা সংগঠন তৈরি করল জুনিয়র ডাক্তারদের অপর একটি অংশ। গতকাল প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে চিকিৎসক শ্রীশ চক্রবর্তী এবং প্রণয় মাইতি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে পরিষ্কার করে জানান। তারা এই সংগঠনের নাম দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। অনিকেত,দেবাশীষদের তৈরি ছাত্র সংগঠনের নাম ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন তৈরি হওয়ার সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গের মেডিকেল কলেজ গুলিতে নতুন করে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট মূলত বামপন্থী এবং অতি বামপন্থী কিছু সিনিয়ার ডাক্তারদের নির্দেশে পরিচালিত হয় এ কথা দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। যেভাবে নবগঠিত জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন জুনিয়ার ডক্টর ফ্রন্ট এর আর্থিক ফান্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তাতে করে একটা বিষয়ে স্পষ্ট যে এই জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট এর মূল উদ্দেশ্য কিন্তু অভয়ার বিচার চাওয়া ছিল না। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল অভয়াকে সামনে রেখে তার মৃত্যুর পর মানুষের মধ্যে যে বিক্ষোভ এবং সরকার বিরোধী মানসিকতা তৈরি হয়েছিল সেটাকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিশেষ করে মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিষয়ে তারা যাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং বিভিন্ন কমিটিতে তারা যাতে তাদের প্রতিনিধি রাখতে পারে সেই বিষয়টাকে নিশ্চিত করা। শ্রীশ, প্রণয়দের অভিযোগ আরজিকর মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল এবং প্রশাসনকে ভয় দেখিয়ে তাদেরকে দিয়ে জোর করে ৫৩ জন জুনিয়র ডাক্তারের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেবার পরিকল্পনা তৈরি করে অনিকের দেবাশীষরা। কিন্তু হাইকোর্টের উপর তাদের ভরসা ছিল। তারা আইনের আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারা সুবিচার পেয়েছে। যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তাদেরকে ‘নটোরিয়াস ক্রিমিনাল’ বলে দেগে দেওয়ার চেষ্টা করেছে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট সেক্ষেত্রে অনিকেতরা যদি প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাই তাহলে তারা আইনি পদক্ষেপ নেবে। তবে এ কথা ঠিক জুনিয়র ডাক্তারদের এই দুটি সংগঠন তৈরি হবার ফলে অভয়ার ঘটনা যে আর পাঁচটা ঘটনার মতোই মানুষের মন থেকে হারিয়ে যাবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।