হাতে গোনা কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো শহর তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলনী

ডিজি বাংলা ২৮ অক্টোবর ২০২৪: দলের জন্ম লগ্ন থেকেই কৃষ্ণনগর শহরে দুর্বল তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন। বর্তমানে সেই সংগঠনের হাল যে অত্যন্ত খারাপ সেটাই দেখা গেল আজ শহর তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে। দলনেত্রীর নির্দেশে বুথস্তর থেকে শুরু করে জেলাস্তর সর্বত্রই বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠান করতে হবে,আর সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে সম্বর্ধনা দিতে হবে পুরনো দিনের কর্মীদের। বর্তমানে কৃষ্ণনগর শহর তৃণমূল কংগ্রেস এক কথায় বলতে গেলে অভিভাবকহীন। ২০০৮ সালে তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম বলিষ্ঠ ডাকাবুকো নেতা দিলীপ শর্মা ওরফে দিলু শর্মার নেতৃত্বে পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস পৌরসভা দখল করতে না পারলেও সাংগঠনিকভাবে যথেষ্ট শক্তি বৃদ্ধি করেছিল। কিন্তু ২০১৩ সালে পৌরসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সেই সময়কার পৌর প্রধান অসীম সাহা সহ কংগ্রেসের কাউন্সিলররা শাসক দলে যোগদান করে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব চলে যায় কংগ্রেসীদের হাতে। ফলে শহর তৃণমূল কংগ্রেসের আদি কর্মীরা সবাই একে একে বসে যেতে শুরু করে। তারপর থেকে শুরু হয় তৃণমূল কংগ্রেসে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সাংসদ মহুয়া মৈত্র কে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার পর শুধু কৃষ্ণনগর শহর নয় ব্লকে ব্লকে দেখা দেয় প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখনো সমান তালে চলছে। মাঝে দু দুবার অবনী মোহন জোয়ারদার কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক নির্বাচিত হলেও শহর থেকে তিনি কিন্তু জিততে পারেননি।। ২০১৯ এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মহুয়া মৈত্র বিরোধী প্রার্থীদের থেকে বিপুল ভোটে পিছিয়ে থাকে শহরে। আর এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে কৃষ্ণনগর শহর তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রায় ছিন্নভিন্ন অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে কৃষ্ণনগর পৌরসভার দ্বিজেন্দ্র মঞ্চে দেখা গেল বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠান। মঞ্চ প্রায় ফাঁকা। গুটি কয়েক কাউন্সিলর মঞ্চে উপস্থিত। নেই কোন জেলা নেতৃত্ব। এমনকি দেখা গেল না সাংসদকে।
তৃণমূল কংগ্রেসের এই ছন্নছাড়া দশা দেখে কটাক্ষ করে ছাড়েনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির শহর নেতৃত্ব।