অভিযোগ গুরুতর অথচ তন্ময়বাবু বলছেন ইয়ার্কি, কি বলছে আমজনতা?
ডিজি বাংলা ২৮ অক্টোবর ২০২৪: সিপিএম নেতা তথা দমদম উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যকে (বয়স ৬৬ বছর)একজন মহিলা সাংবাদিকের সাথে অভব্য আচরণ এবং শারীরিক নিগ্ৰহের অভিযোগে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তন্ময় বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তার বাড়িতে একটি ইউটিউব সংবাদ চ্যানেলের মহিলা সাংবাদিক সাক্ষাৎকার নিতে যায়। সাক্ষাৎকার নেবার পূর্বে তিনি মহিলা সাংবাদিকদের সাথে অভব্য আচরণ করেন এমনটাই অভিযোগ ওই সাংবাদিকের। ওই সাংবাদিক আরও অভিযোগ করেন তন্ময়বাবু তার গায়ে হাত দেন,এমনকি তার কোলে বসার চেষ্টা করেন। তিনি ওই মহিলা সাংবাদিকের সাথে ইতিপূর্বে একাধিকবার এমনটা করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পেশার স্বার্থে ওই মহিলা সাংবাদিক তন্ময় বাবুর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারেন নি। কিন্তু এবার বিষয়টি মাত্রা ছাড়া হওয়ার কারণে তিনি একপ্রকার বাধ্য হয়েই ফেসবুক লাইভে তার অভিযোগটি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে জল ঘোলা হতেই তড়িঘড়ি সিপিএমের রাজ্য কমিটি সম্পাদক মোঃ সেলিম তন্ময় ভট্টাচার্যকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত তন্ময় বাবু নিজের স্বপক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে বলেন তিনি নিছক ইয়ার্কি করেছেন ওই মহিলার সাংবাদিকের সাথে। তিনি আরো বলেন এমনটা তিনি অনেকের সাথেই করে থাকেন। কিন্তু বিষয়টা যে এত দূর গড়াবে তা তিনি বুঝতে পারেননি। কিন্তু প্রশ্ন হল এভাবে ইয়ার্কি বলে এইরকম একটা গুরুতর অভিযোগ থেকে কি মুক্তি পাওয়া যায়? তন্ময় বাবুর ‘ইয়ার্কি তত্ত্ব’ কতটা বিশ্বাসযোগ্য? সর্বোপরি তন্ময় ভট্টাচার্য কোন আম নাগরিক নন,তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ইয়ার্কি করে কোন মহিলার গায়ে হাত দেওয়া কিংবা কোলে বসা বিষয়টিকে এভাবে ইয়ার্কি বলে কি হালকা করে দেওয়া যায়?
তন্ময় বাবুর বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথে একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন তন্ময়বাবু একজন বয়স্ক মানুষ। তাকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে এরকম একটা অভিযোগ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তবে তিনি যেভাবে বিষয়টিকে অস্বীকার করছেন সেটা কে মেনে নেওয়া যায় না। এই অভিযোগের তদন্ত হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।