“ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার” বাংলাদেশ সম্পর্কে এমনটাই মনে করে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ
ডিজি বাংলা ৭ ডিসেম্বর ২০২৪: ভারতের সাহায্য ছাড়া যে দেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেত না, পাকিস্তানি শাসকের পায়ের তলায় পিষ্ট হতো,সেই বাংলাদেশের একাংশ যখন সোস্যাল মিডিয়ায় চিৎকার করে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার কথা বলে তখন হাঃ হাঃ রিঅ্যাক্ট দেওয়া ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারিনা,এমনটাই বলছে পশ্চিমবঙ্গের নেটিজেনদের বৃহদাংশ। কেউ কেউ এক কদম এগিয়ে বলেছে,ঢাল নেই,তলোয়ার নেই, নিধিরাম সর্দার। বাস্তবিকই তাই। ভারত থেকে খাদ্য সামগ্রী না গেলে যে দেশের মানুষকে অনাহারে,অর্ধাহারে দিন কাটাতে হবে সেই দেশের হুজুর,মৌলভীদের ভারত বিরোধী বক্তব্য শুনলে এমনটাই মনে হয়।
গত ৫ আগষ্ট প্রবল গণবিক্ষোভের চাপে পড়ে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষমতার আসনে বসেন মহম্মদ ইউনুস। এরপরই বাংলাদেশে শুরু হিন্দু নিধন। একের পর এক মন্দির ভাঙা শুরু হয়। শুরু হয় হিন্দুদের জমিজমা দখল, বাড়ি ঘর লুঠপাট। এখানেই শেষ নয়,বাংলাদেশের মুসলিম ধর্মীয় সংগঠনগুলি ভারতকে যুদ্ধের হুমকি দিতে শুরু করে। যদিও বাংলাদেশের এই যুদ্ধ-হুমকি নিছকই পাগলের প্রলাপ বলেছে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ।
প্রতিবেশী দেশ হিসাবে গরিব বাংলাদেশকে বরাবরই করুণার চোখে দেখে ভারত। বাংলাদেশ মূলত টিকে আছে বিদেশি সহায়তায়। তার মধ্যে ভারত অন্যতম দেশ যে দেশ প্রতিমুহূর্তে বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে চলেছে। আসলে মহম্মদ ইউনুসের ক্ষমতায় টিকে থাকার একমাত্র পথ হলো ভারত বিরোধিতা। আর এই ভারত বিরোধীতাকে সম্বল করেই মহম্মদ ইউনুস আগামী দিনে বাংলাদেশের জনগণ স্বীকৃত শাসক হতে চাইছেন। কিন্তু বাংলাদেশের যা বর্তমান অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি এবং দেশ থেকে বিতাড়িত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য যেভাবে উঠে পড়ে লেগেছে তাতে আগামী দিনে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ সমস্যা সামলাতে এতটাই ব্যস্ত থাকবে যে যুদ্ধের কথা তারা ভুলে যাবে,এমনটাই মনে করছেন এই রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ।