বিসর্জনে অশান্তি এড়াতে বিসর্জনের পথ বদল করল পুলিশ প্রশাসন

ডিজি বাংলা ২ নভেম্বর ২০২৪: বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রশাসন চেষ্টা চালাচ্ছিল কালী পুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজো বিসর্জনের রুট পরিবর্তন করতে। কিন্তু বিভিন্ন পূজা কমিটির অসহযোগিতার কারণে সেটা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছিল না। কিন্তু এবারে প্রশাসন কঠোরভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যেভাবেই হোক বিসর্জনের রুট পরিবর্তন করতে হবে। এ বিষয়ে কয়েকদিন আগে জেলা পুলিশ প্রশাসনের সাথে কৃষ্ণনগরের কালীপুজোর কমিটি গুলির কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে জেলা প্রশাসন থেকে গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়। যদিও অনেক পুজো কমিটি এই রুট পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাদের আপত্তি জানিয়েছিল, কিন্তু প্রশাসন তাদের সেই দাবিকে মান্যতা দেয়নি।
এবারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে সমস্ত কালী প্রতিমা গাড়ি করে বিসর্জনে যাবে তারা পোস্ট অফিস মোড় থেকে সদর হাসপাতাল মোড় হয়ে নেদের পাড়া হয়ে এভি স্কুল মোড় হয়ে রাজবাড়ীর মাঠে যাবে। শুধুমাত্র যে সমস্ত প্রতিমা “সাঙ্গে” অর্থাৎ বেয়ারার কাঁধে চেপে বিসর্জনে যায় একমাত্র সেই প্রতিমা গুলিই তাদের পুরনো রুট ধরে রাজবাড়িতে যাবে এবং সেখান থেকে ফিরে জলঙ্গির বিসর্জন ঘাটে যাবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
পুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে অশান্তি,গন্ডগোল, মারামারি,এমনকি খুনখারাবি কৃষ্ণনগরের কোন নতুন ঘটনা নয়। দীর্ঘদিন ধরেই এরকম একটা অরাজকতা এবং অব্যবস্থা চলে আসছে। মাঝে কিছুদিনের জন্য জনৈক পুলিশ অফিসারের বদান্যতায় কৃষ্ণনগরের মানুষ শান্তিপূর্ণ বিসর্জন দেখতে পেয়েছিল। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে কৃষ্ণনগরের মানুষ বিসর্জন এলেই আবার আতঙ্কবোধ করে। স্বাভাবিকভাবেই কৃষ্ণনগরের মানুষ মনে করছে এই রুট পরিবর্তনে হয়তো কিছুটা হলেও সুরাহা হবে।
বিসর্জন যাতে নিরাপদ এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সে বিষয়ে নজর রেখে প্রশাসন এবার পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশি ব্যবস্থা করেছে। প্রশাসন সূত্রের খবর শতাধিক অফিসার সহ প্রায় তিন শতাধিক সাধারণ পুলিশ কর্মী থাকছেন। এছাড়াও বাইরে থেকে হাজারখানেক সিভিল ভলেন্টিয়ার্স আনা হয়েছে। সেই সাথে থাকবে পর্যাপ্ত পরিমাণ সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ভিডিও ক্যামেরা।