রাজ্য

বাঘিনী “জিনাত”কে ঘুম পাড়াতে ১০ দিনে খরচ হলো আনুমানিক ৩৫ লক্ষ টাকা

ডিজি বাংলা ৮ জানুয়ারি(বুধবার) ২০২৫: ঘটনার সূত্রপাত ডিসেম্বর মাসের ২০ তারিখ আর ঘটনার সমাপ্তি হলো ওই মাসেরই ২৯ তারিখে। আর এই ১০ দিনের ঘটনার ঘনঘটায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খরচ হলো আনুমানিক ৩৫ লক্ষ টাকা।
ঘটনার মুখ্য চরিত্র উড়িষ্যার বাঘিনী “জিনাত”। “জিনত” নামের এই বাঘিনীর মূল বাসস্থান উড়িষ্যার সিমলিপাল রিজার্ভ ফরেস্ট। এখান থেকে এই বাঘিনী বেরিয়ে পড়ে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। তারপর দীর্ঘ ১৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বিভিন্ন দিক ঘুরে ফিরে শেষ পর্যন্ত ১০ ডিসেম্বর এসে পৌঁছায় ঝাড়খন্ডে। ঝাড়খন্ড থেকে ঘুরপাক খেতে খেতে ডিসেম্বর মাসের ২০ তারিখে ঢুকে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম এলাকায়। দীর্ঘ ১০ দিন এই বাঘিনীকে ধরার জন্য পশ্চিমবঙ্গ এবং উড়িষ্যার বনদপ্তরের দক্ষ কর্মীরা নাজেহাল হয়ে যায়। ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া বনদপ্তরের কর্মীদের সাথে যুক্ত হয় উড়িষ্যার সিমলাপাল টাইগার রিজার্ভের বনকর্মীরাও। এমনকি সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের দক্ষ অফিসার এবং কর্মীরাও আসে। কারা ছিল না এই জিনাতকে অ্যারেস্ট করার মিশনে? মুখ্য বনপাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন বন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, সহকারী বিভাগীয় প্রধান, রেঞ্জ অফিসার, বিট অফিসার, বনরক্ষী থেকে শুরু করে হাল্লা পার্টির লোকজন সেই সাথে এলাকার মানুষ। শেষ পর্যন্ত ২৯ ডিসেম্বর ঘুম পাড়ানি গুলি খেয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে বাঘিনী “জিনাত”। আর এই “জিনাত” কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বন দফতরের খরচা শুনলে আক্কেল গুড়ুম হবে সক্কলের। এখনো পর্যন্ত প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী খরচ হয়েছে আনুমানিক ৩৫ লক্ষ টাকা। পশ্চিমবঙ্গ বনমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে এই খরচের পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button