ডিজি বাংলা ৮ নভেম্বর ২০২৪: আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হতে চলেছে। এরমধ্যে একমাত্র মাদারিহাট ছাড়া বাকি পাঁচটি আসনই ছিল তৃণমূলের দখলে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মাদারিহাট(লোকসভা:আলিপুরদুয়ার) কেন্দ্র থেকে পদ্মফুল প্রতীকে জয়লাভ করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা।
বাকি পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্র সিতাই (লোকসভা:কোচবিহার),মেদিনীপুর (লোকসভা:মেদিনীপুর),তালডাংরা(লোকসভা:বাঁকুড়া),নৈহাটি(লোকসভা : ব্যারাকপুর) এবং হাড়োয়া(লোকসভা: বসিরহাট) এগুলি ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দখল।
কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সিতাই বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নিশীথ প্রামাণিক কে হারিয়ে কোচবিহার কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন জগদীশ বসুনিয়া। মেদিনীপুর কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন জুন মালিয়া। তিনি সাংসদ হওয়ার ফলে এই আসনটি বিধায়ক শূন্য হয়। নৈহাটি আসনের বিধায়ক ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। অপরদিকে তালডাংরার বিধায়ক ছিলেন অরূপ চক্রবর্তী। তিনিও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। হাড়োয়া কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন হাজী নুরুল ইসলাম। তিনি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর হাড়োয়া কেন্দ্রটি বিধায়ক শূন্য হয়ে পড়ে। যদিও বর্তমানে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রটিও সাংসদ শূন্য কারণ সম্প্রতি ওই কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ হাজী নুরুল ইসলাম প্রয়াত হয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে করে এই ছটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস যে ওয়াকওভার পেতে চলেছে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। সিপিএম ক্ষয়িষ্ণু দল,তাদের বর্তমান জনসমর্থন চার থেকে পাঁচ শতাংশ। কংগ্রেস অস্তিত্বহীন। একমাত্র বিজেপি কিছুটা লড়াই এর জায়গাতে ছিল। কিন্তু গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত এই মুহূর্তে লড়াই করবার মত জায়গাতে নেই। ফলে ১৩ নভেম্বর ছটি বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচনে তৃণমূলের জয় এক প্রকার সুনিশ্চিত।
