নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হলো জগদ্ধাত্রী পূজোর বিসর্জন

ডিজি বাংলা ১৩ নভেম্বর ২০২৪: কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হল কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পূজা। শতাব্দী প্রাচীন কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় আবেগ,উচ্ছ্বাস, আনন্দ, আড়ম্বর ও সমারোহের কোন অভাবই ছিল না। কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো “সাঙ”‘ অর্থাৎ বেয়ারার কাঁধে চেপে দেবীর বিসর্জনের শোভাযাত্রা। একদিনের পুজো এবং দুদিনের শোভাযাত্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে কৃষ্ণনগরে। জেলা পুলিশ প্রশাসন ও কোতোয়ালি থানা নির্বিঘ্নে পুজো সম্পন্ন করতে যথাযথ ভূমিকা পালন করেছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষ্ণনগরের কালীপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজো নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হবে কিনা এ বিষয়ে কৃষ্ণনগর বাসির মনে একটা সন্দেহ ছিল। কিন্তু সমস্ত সন্দেহের অবসান ঘটিয়ে কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো এবং প্রতিমা নিরঞ্জন সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হল। একদিনের পুজো,দুদিনের বিসর্জন অথচ জগদ্ধাত্রী পুজোর জ্বরে আক্রান্ত ছিল শহরবাসী বিগত সাত দিন ধরে। যত দিন যাচ্ছে কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পূজার জৌলুস ও আড়ম্বর ততোই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে প্রতিমা নিরঞ্জনের ক্ষেত্রে প্রশাসনের সক্রিয়তা সেভাবে লক্ষ্য করা যায়নি। সারারাত ধরে প্রতিমা বিসর্জন হবার পরেও অসংখ্য প্রতিমা পরের দিন সকালে বিসর্জন হল। “সাঙে” প্রতিমা নিয়ে বিসর্জনের বিষয়টি নিয়ে বোধহয় ভাববার সময় এসেছে। যেভাবে “বুড়িমা”র প্রতিমা জলঙ্গির ঘাটে যাওয়ার সময় বারংবার বিশ্রাম নিতে হয়েছে তাতে করে একটা বিষয়ে স্পষ্ট আগামী দিনে হয়তো এভাবে “সাঙে” করে আর প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া সম্ভব হবে না। বিষয়টা নিয়ে পূজো কমিটি ও জেলা প্রশাসনকে অবশ্যই ভাবতে হবে।