আবারও আদি-নব্য বিতর্কে সরগরম তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি
ডিজি বাংলা ১৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ২০২৫: একজন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অন্যজন দলের রাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক। আর এই দুজনের বাকযুদ্ধে সরগরম তৃণমূল কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ রাজনীতি। আর জি কর ইস্যু এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে শিল্পী বয়কট এই বিষয় নিয়ে যুযুধান দুই পক্ষ। আর এর সাথে শুরু হয়েছে স্যালাইন কান্ড। সব মিলিয়ে দলে নবীন প্রবীণের দ্বন্দ্ব আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
গতকাল সকালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি যত দূর চিনি তিনি বয়কট, ভেঙে দেওয়া, গুঁড়িয়ে দেওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। যদি করতেন তা হলে এক সময়ে যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন, তাঁরা দলে ফিরতে পারতেন না।” রাজনৈতিক মহলের মতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কারোর নাম না করেও স্পষ্টতই এই বার্তা দিয়েছেন কুনাল ঘোষ এর উদ্দেশ্যে। সারদা চিটফান্ড মামলায় অভিযুক্ত কুণাল ঘোষ জেলে থাকাকালীন সময়ে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছিলেন। বলেছিলেন, “সারদার সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারির নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রেফতার করতে হলে সবার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা উচিত।’’ অভিষেকের মন্তব্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কুণাল ঘোষ বলেন, ” অভিষেক ঠিকই বলেছেন।তৃণমূল বয়কটের রাজনীতি করে না। কিন্তু আরজি কর ইস্যুতে যে শিল্পীরা মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সম্পর্কে কুৎসা ছড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন, বাংলার তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা তাঁদের কোনও অনুষ্ঠানে ডাকবেন না”।
কুণাল ঘোষের আরও সংযোজন ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই রক্তাক্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশের গাড়ি থেকে নিজের গাড়িতে তুলে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
এমনকী ২০১১ সালের ২১ জুলাই ব্রিগেডের মঞ্চে যুবার সভাপতি হিসেবে নেত্রীর নির্দেশে অভিষেকের নাম তিনিই ঘোষণা করেছিলেন
কুণাল আরও বলেন “আমি আগেও বলেছি, মমতা’দি বলে দিন যে আমি ভুল বলছি, মেনে নেব। কিন্তু এখনও তাঁর কোনও বার্তা আসেনি। তাই নেত্রী কী ভাবছেন, সেটা অন্য কারও মুখ থেকে শুনব না।’’ অন্যদিকে দলের অভ্যন্তরে অভিষেকের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তৃণমূল নেত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনিই দল চালাবেন। আগামী দশ বছর তৃণমূল কংগ্রেস চলবে তার নির্দেশ এবং নেতৃত্বে।