প্রস্তুতি শেষ,সাংগঠনিক রদবদল এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা

ডিজি বাংলা ১৮ নভেম্বর ২০২৪: দলের সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে একগুচ্ছ প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর কাছে। তার সেই প্রস্তাব গৃহীত এবং অনুমোদিত হয়েছে। এবার পূর্ণোদ্যমে দলের সাংগঠনিক রদবদল ঘটাতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত লোকসভা নির্বাচনে শহরকেন্দ্রিক এলাকা গুলিতে দলের ফলাফল অত্যন্ত হতাশ জনক।বিশেষ করে রাজ্যের প্রায় ৮০ টির অধিক পৌরসভায় তৃণমূল কংগ্রেস তার প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপির থেকে ভোট শতাংশে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। এই সমস্ত পৌরসভার পৌর প্রধানদের এবং সেই শহরের শহর সভাপতিদের পদে কোপ পড়তে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। বিশেষ করে নদীয়া জেলার সবকটি পৌরসভার ফলাফল অত্যন্ত খারাপ। দলীয় সূত্রের খবর জেলার একাধিক পৌরসভার পৌর প্রধানের পদ চলে যেতে পারে। পাশাপাশি জেলার দলীয় সভাপতি পদেও পরিবর্তন আসতে পারে বলে সংবাদ সুত্রে জানা যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই জেলার নেতা-নেত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মী সমর্থকদের মধ্যেও এক ধরনের উত্তেজনা বাসা বেঁধেছে।
এমনিতেই নদীয়া জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সম্পর্কে রাজ্যের উচ্চ নেতৃত্ব অবহিত। সম্প্রতি জেলা সভাপতি সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বাদ দিয়ে জেলার একমাত্র মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসকে সামনে রেখে জেলার অধিকাংশ বিধায়করা একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেই আলোচনা সভায় কি আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কেউ কিছু না বললেও সংবাদ সূত্রে জানা গেছে ওই মিটিং এ সব বিধায়কই কমবেশি সাংসদের কাজ কর্ম সম্পর্কে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলার এক নেতা বলেন, যতদূর জানা যাচ্ছে জেলা পরিষদের অভ্যন্তরেও কিছু পরিবর্তন হতে পারে। তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে ২৩ তারিখের আগে কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। ঐ দিন রাজ্যের ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে। ওই ফলাফল ঘোষণার পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় এবং সাংগঠনিক পদে রদবদলের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।