ডিজিবাংলার খবরের জেরে নড়ে চড়ে বসলো প্রশাসন সারাই হলো ভাঙা রাস্তা

ডিজি বাংলা ১৯ নভেম্বর ২০২৪: নদীয়ার সদর শহর কৃষ্ণনগরে প্রবেশ করার যে কটি রাস্তা আছে তার মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হল কৃষ্ণনগর-শান্তিপুর রোড। প্রতিদিন,প্রতিমুহূর্তে অসংখ্য সাধারণ যাত্রী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা এই পথে যাতায়াত করে। কলকাতা থেকে শান্তিপুর হয়ে কৃষ্ণনগরে প্রবেশ করার একমাত্র রাস্তা হচ্ছে এই কৃষ্ণনগর-শান্তিপুর রোড,অথচ এই রাস্তায় বেলডাঙ্গা রেল গেটের কাছে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ।
গত ২৬ তারিখে জিডি বাংলা সাংবাদিক বেলডাঙ্গা রেলগেটের ওই রাস্তার ছবিসহ খবর প্রকাশ করে। সেই খবর প্রকাশ হবার সাথে সাথেই প্রশাসনিক দপ্তরে নড়াচড়া শুরু হয় এবং রাস্তার কাজ শুরু হয়। আপাতত রাস্তার কাজ শেষ হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের যাতায়াত এবং যান চলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক। তবে বেলডাঙ্গা রেলগেটের যা পরিস্থিতি তাতে অচিরেই নতুন কোন পরিকল্পনা না করলে এই সমস্যা কোনদিনই মিটবে না। পাশেই হাট,প্রতি মুহূর্তে অসংখ্য মানুষ সেই সাথে শান্তিপুর সহ অন্যান্য রুটের বাস চলাচল করে। অসংখ্য গাড়ি কলকাতা যাবার ক্ষেত্রে এই রাস্তা ব্যবহার করে। শহরের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী নিকটবর্তী স্কুল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়তে যায়। স্বাভাবিকভাবেই তাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভীষণ অসুবিধা হয়। যখনই নির্বাচন আসে তখনই বেলডাঙ্গা রেলগেটের সমস্যা নির্বাচনের একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। প্রত্যেকে প্রতিশ্রুতি দেয় এবার নির্বাচনে জিতলে তিনি রেলের সাথে কথা বলে এই সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না,পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হয় না। এভাবেই কি চলতে থাকবে? কি বলছে রেল দপ্তর? কি বলছে রাজ্য প্রশাসন?