শুধু তৃণমূল নয়, সিপিএম নেতৃত্বেও আসতে চলেছে বড় ধরনের পরিবর্তন

ডিজি বাংলা ১৯ নভেম্বর ২০২৪: সংগঠনের রদবদল হচ্ছে,সেই সাথে অনেকেরই দলীয় পদ থেকে শুরু করে পৌরসভার পৌর প্রধান,জেলা পরিষদের সভাধিপতি অথবা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কিংবা পঞ্চায়েতের প্রধানের পদ চলে যেতে পারে। এই আশঙ্কায় তৃণমূল অন্দরে শোরগোল পড়ে গেছে। সবাই এখন নিজের নিজের পদ বাঁচাতে ব্যস্ত। তৃণমূল কংগ্রেসে যেমন দলীয় পদের রদবদল হতে চলেছে ঠিক তেমনি সিপিএমের অন্দরমহলেও শোনা যাচ্ছে পরিবর্তনের ইঙ্গিত।
সিপিএম দলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তাদের একটি সাংগঠনিক কাঠামো আছে,সেই কাঠামো মেনেই তাদের দল পরিচালিত হয়। স্বাভাবিক নিয়মেই সিপিএম দলের পদাধিকারী পরিবর্তন হয়।
সিপিএমের সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী কোন ব্যক্তি তিন বছরের বেশি কোন কমিটির কোন পদে থাকতে পারবে না। আবার পাশাপাশি দলীয় পদে থাকার সর্বোচ্চ বয়সসীমা ও বেঁধে দেওয়া আছে। সেই নিয়ম কার্যকর হলে সিপিএমের অনেক জেলা সম্পাদক পদে নতুন মুখ আসবে। ইতিমধ্যে সিপিএমের বিভিন্ন এরিয়া কমিটিগুলির সম্মেলন শুরু হয়ে গেছে।এরিয়া কমিটিরগুলির সম্মেলন শেষ হওয়ার পর শুরু হবে জেলা সম্মেলন। আর সেই জেলা সম্মেলনেই ঠিক হবে জেলা সম্পাদক কে হবে। সিপিএমের সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে বেশ কয়েকটি জেলায় জেলা সম্পাদকের পদে নতুন মুখ আসতে চলেছে। বিশেষ করে নদীয়া,দক্ষিণ ২৪ পরগনা,কোচবিহার,মালদা,দক্ষিণ দিনাজপুর,দুই মেদিনীপুর জেলার জেলা সম্পাদক পদে নতুন মুখ আসতে পারে।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম দল এক কঠিন অবস্থার মধ্যে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তাদের মূল শত্রু কে এই বিষয়টা চিহ্নিত করতে এখনও তারা দ্বিধা বিভক্ত। স্থানীয় স্তরে সিপিএম নেতৃত্বের একাংশ তৃণমূলকে হারাবার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিজেপির সাথে হাত মিলিয়েছে। ফলে সিপিএমের ভোট বিজেপিতে ট্রান্সফার হয়েছে। বিজেপি লাভবান হয়েছে,সিপিএমের ভোট কমতে কমতে এই মুহূর্তে ছয় থেকে সাত শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। আগামী ২৬ এ নির্বাচন। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোতে চাইছে সিপিএম। সে কারণে তারা ভরসা রাখতে চাইছে নবীন প্রজন্মের উপরে। ফলে আগামী রাজ্য সম্মেলনে অনেক নতুন মুখকেই নেতৃত্বের আসনে দেখা যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।