সংখ্যার বিচারে “এক দেশ এক ভোট” বিল পাশ অথৈ জলে
ডিজিডিজি বাংলা ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪: প্রাথমিক ভাবে “এক দেশ এক ভোট” বিল লোকসভায় সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পেশ হলেও আগামী দিনে সংসদের উভয় কক্ষে এই বিল পাশ হবে কি না সে বিষয়ে একশো শতাংশ নিশ্চিত নয় কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি এবং তার সহযোগী দলগুলি। লোকসভা এবং সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা ভোট একসাথে করাতে গেলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। কারণ বর্তমান সংবিধানে লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভার ভোট কিভাবে হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া আছে।
কেন্দ্রের বর্তমান বিজেপি পরিচালিত এনডিএ সরকার “এক দেশ এক ভোট” এই বিল পাশ করিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করতে চাইছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল গতকাল লোকসভায় “এক দেশ এক ভোট” এই বিলটি অনুমোদনের জন্য পেশ করেন। লোকসভায় বিলটি ২৬৩-১৯৮ ভোটে পেশ হয়।
“এক দেশ এক ভোট” বিলটি লোকসভায় পাস করাতে গেলে প্রয়োজন উপস্থিত লোকসভা সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন। ৫৪৩ সাংসদের উপস্থিত ভোটাভুটি হলে এই বিল পাশ করাতে শাসকদলের প্রয়োজন হবে ৩৬২ জন সদস্যের সমর্থন কিন্তু এই মুহূর্তে এনডিএ’র লোকসভার সদস্য সংখ্যা ২৯৩ জন ফলে এই বিল পাস করাতে শাসকদলের প্রয়োজন ৬৯ জনের সমর্থন। যেটা কোনোভাবেই সংগ্রহ করা বিজেপির পক্ষে সম্ভব নয়। সুতরাং প্রথমেই বিলটি লোকসভায় আটকে যাওয়ার প্রবাল সম্ভাবনা। কোনভাবে যদিও বা বিলটি লোকসভায় উপড়ে যায় তাহলে এই বিল নিশ্চিতভাবে রাজ্যসভায় গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়বে।
সুতরাং পরিস্থিতি যেদিকে এগুচ্ছে তাতে করে এই মুহূর্তে “এক দেশ এক ভোট” এই বিল পাস হবার সম্ভাবনা এক প্রকার নেই বললেই চলে। আপাতত বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানো হচ্ছে বলে সংবাদ সূত্রে জানা গেছে।
রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত যদিও বা ২০২৯ সালের আগে সহমতের ভিত্তিতে বিলটি পাশ হয়ে যায় তাহলেও ২০৩৪ সালের আগে কোনোভাবেই লোকসভা এবং বিধানসভার ভোট একসাথে করা সম্ভব নয়।