বুথ কর্মীদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে,২০২৬ এ কি হবে বিজেপির ভবিষ্যৎ?

ডিজি বাংলা ৩০ নভেম্বর ২০২৪: আর ৩১ দিন পর ২০২৪ সাল শেষ হবে। শুরু হবে ২০২৫ সাল।২০২৬ এ বিধানসভা নির্বাচন। হাতে একটি বছর। তার আগেই হয়ে গেল ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন এবং সেই নির্বাচনে পর্যুদস্ত হলো শাসক বিরোধী সবকটি রাজনৈতিক দল। প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এবং তাদের হাতে থাকা একমাত্র আসন মাদারিহাট বিধানসভা হাতছাড়া হলো।আর এই হারের পর থেকেই বিজেপির অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে তুমুল অশান্তি এবং পরষ্পরের প্রতি দোষারোপ। আর এতেই অশনি সঙ্কেত দেখছে বিজেপির দিল্লির নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় বিজেপির আভ্যন্তরীণ রিপোর্টে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বঙ্গ বিজেপির পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে, তাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা দখল তো দূর অস্ত,দল পশ্চিমবঙ্গে ৫০ টি আসন জিততে পারবে কি না সন্দেহ?
অন্যদিকে বঙ্গ বিজেপির দাবি উপনির্বাচনে শাসক দলের প্রার্থীরাই জয়ী হন। উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের উপনির্বাচনের সিংহভাগ আসনে জিতেছে সেই রাজ্যের শাসক দল বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে এই ফলাফল হবে না।
কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যে গুরুত্ব দিতে নারাজ। বর্তমানে রাজ্য বিজেপির ছন্নছাড়া দশা, যার প্রভাব পড়েছে নিচুতলার কর্মীদের উপরে। সাধারণ সমর্থক ও বুথ কর্মীদের মধ্যে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বুথ কর্মীদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকেছে। “তৃণমূলকে যে হারানো সম্ভব” এই বিশ্বাসটুকু কর্মীদের মধ্যে আর নেই। বিজেপির এক কেন্দ্রীয় স্তরের নেতার মন্তব্য, ‘‘দলের সম্পদ বুথ স্তরের কর্মীরা। তাঁদের মধ্যে বিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ফলে তাঁরা দায়িত্ব ঠিক ভাবে পালন করতে পারছেন না। পশ্চিমবঙ্গে এখনও সব বুথে বুথ কমিটি তৈরি হয়নি। সাংগঠনিক ব্যর্থতা এর জন্য দায়ী।’’