শহর

কৃষ্ণনগর শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ডে পালিত হল না তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠান

ডিজি বাংলা ১ জানুয়ারি ২০২৫ : আজ থেকে ২৭ বছর আগে ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়। আজ সেই তৃণমূল কংগ্রেস ২৭ বছর অতিক্রম করে ২৮ বছরে পদার্পণ করল।
সারা রাজ্যে জুড়ে প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এই দিনটিকে পালন করলো তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে রাজ্য স্তরের নেতৃত্ব পর্যন্ত।
তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন, “রোশনি চাঁদ সে হোতি
হ্যায়, সিতারোঁ সে নেহি, মহব্বত তৃণমূল কংগ্রেসসে হোতি হ্যায়, আউর কিসিসে নেহি”।
২৪শের লোকসভা নির্বাচন ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এক কঠিন লড়াই। সেই লড়াইয়ে বিপুল সাফল্য পায় তৃণমূল কংগ্রেস। ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৯টি আসন জয়ী হয় তৃণমূল। এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে তৃণমূল কংগ্রেসের ইতিহাসে এক মাইলস্টোন। বছরের প্রথমদিন ও দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ভোট ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেসের এই সাফল্যের কথা তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি লেখেন “মা মাটি আর মানুষ নিয়ে বাংলা আছে ভাল, তৃণমূলের হাতেই থাকুক নতুন দিনের আলো”।
রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতোই দলের ২৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করল নদীয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। জেলা পার্টি অফিসে দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এই দিনটি পালন করা হয়।
জেলা পার্টি অফিসে দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হলেও কৃষ্ণনগর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শহরের বুকে সেভাবে কোন অনুষ্ঠান উদযাপনের চিত্র দেখা গেল না। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ ছিল প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ব্লকে ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হবে। সেই মর্মে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনামা জেলায় জেলায় পৌঁছে দেওয়া হয়। কৃষ্ণনগর শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন ভীষণ দুর্বল। শহরের ২৫ টি ওয়ার্ডেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বিদ্যমান। ফলে শহরের গুটি কয়েক ওয়ার্ড ছাড়া বাকি ওয়ার্ড গুলিতে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা তো দূরের কথা দলীয় পতাকা উত্তোলনই হয়নি। বিশেষ করে ৪,১৪,১৭,১৯,২০ নং এই সমস্ত ওয়ার্ডগুলোতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন অস্তিত্ব আছে বলেই মনে হয় না। বিগত লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর শহরের একটি ওয়ার্ড ছাড়া বাকি ২৪ টি ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস পরাজিত হয়। তারপরও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামানো যায়নি। বিগত পৌরসভা নির্বাচনে যে সমস্ত ব্যক্তি দলের মধ্যে থেকে দলের বিরুদ্ধে ভোট করেছিল তারাই পরবর্তীকালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ড সভাপতির পদ পাওয়ার ফলে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও তীব্রতর হয়। বর্তমানে দলকে তারই খেসারত দিতে হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button