গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলেন মহুয়া মৈত্র

ডিজি বাংলা ৪ ডিসেম্বর ২০২৪: কল্যাণী জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সরকারি প্রতিনিধি মনোনীত হলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আর জি কর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুনী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা বাংলা। আঙ্গুল ওঠে স্বাস্থ্য ভবনের দিকে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রতিটি সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেন এবং ঘোষণা করেন অচিরেই নতুন করে রোগী কল্যাণ সমিতি গঠন করা হবে। সেই মোতাবেক নদীয়া জেলার একমাত্র সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে গঠন করা হলো রোগী কল্যাণ সমিতি। আট সদস্যের এই কমিটির চেয়ারম্যান হলেন কলেজের অধ্যক্ষ।
২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সরকার গঠিত হওয়ার পর ২০১৩ সালে কল্যাণীতে প্রতিষ্ঠিত হয় কলেজ অফ মেডিসিন এণ্ড জেএনএম হাসপাতাল। রোগী কল্যাণ সমিতির প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও রেল মন্ত্রী মুকুল রায়। মুকুল রায়ের পরে পর্যায়ক্রমে এই দায়িত্ব পালন করেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং রানাঘাটের বিধায়ক শঙ্কর সিংহ। সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ গুলিতে দলীয় আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে দলীয় এবং নির্বাচিত সাংসদ,বিধায়কদের সরিয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে ওই পদে নিয়ে আসার মধ্য দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের সেই দাবিকে নস্যাৎ করলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।