এভারেস্টের পথে নদীয়ার রুম্পা ও অসীম

নিজস্ব প্রতিনিধি,ডিজি বাংলা: মাউন্টেনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ কৃষ্ণনগরের দুই সদস্য রুম্পা দাস ও অসীম কুমার মন্ডল ৩১শে মার্চ রওনা দিচ্ছেন মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের উদ্দেশ্যে। ৪ই এপ্রিল লুকলা থেকে এভারেস্টের বেস ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে ট্রেকিং শুরু করবেন তারা।পেশাগত ভাবে রুম্পা দাস (বয়স-৪৩বছর) একজন সরকারি স্কুলের ইংরাজি শিক্ষিকা এবং অসীম কুমার মন্ডল(বয়স ৫২ বছর) বাগাছরা পঞ্চায়েত সমিতির একজন কর্মচারী। পাহাড়ে ওঠার নেশায় আজ তাদের পরিচয় শুধুই পর্বতারোহী এবং স্বপ্ন এভারেস্ট শৃঙ্গ জয়।
মাউন্টেনিয়ার্স অ্যাসোসিশন অফ কৃষ্ণনগর ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে তার যাত্রা শুরু করে।প্রতি বছরই পুরুলিয়ায় রক ক্লাইম্বিং – কোর্স করায় তারা,এছাড়া হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে পর্বত আরোহণের ট্রেনিং ও করান ।ম্যাক এর অনেক সদস্য কাঞ্চনজঙ্ঘা,অন্নপূর্ণা, গোরিচেন, নন্দাদেবীর মতন অনেক শৃঙ্গ জয় করেছেন। ২০১০ সালে বসন্ত সিংহ রায় ও দেবাশীষ বিশ্বাস প্রথম ম্যাক থেকে এভারেস্ট জয় করেছিলেন। এরপর দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবার ম্যাকের সদস্যরা পা বাড়াচ্ছেন এভারেস্টের পথে।
আজ কৃষ্ণনগর পৌরসভার প্রেক্ষাগৃহে তাদের হাতে ভারতের জাতীয় পতাকা এবং ম্যাকের পতাকা তুলে দেন তারা। এই অনুষ্ঠানে ম্যাকের কর্ণধার,সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শহর ও জেলার বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী মানুষজন। টেকনো ইন্ডিয়া পাবলিক স্কুল,পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক,কৃষ্ণনগর লায়ন্স ক্লাবের মতন সংস্থা থেকে কিছু আর্থিক সহযোগিতা ও শুভকামনা নিয়ে উপস্থিত ছিলেন তাদের প্রতিনিধিরা।
বসন্ত সিংহ রায় জানান,” এই অভিযানের খরচ প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকা যার বেশিরভাগটাই লোন নিয়ে এবং জমি বিক্রি করে যোগাড় করেছেন রুম্পা দাস ও অসীম কুমার মন্ডল।”
ম্যাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অশোক রায় বলেন,”অনেক দিন ধরেই এরা অনেক সফল অভিযান করেছেন ,আমি খুব আশাবাদী যে এবারও এভারেস্ট জয় করেই এরা ফিরে আসবে।” অন্যদিকে এই অভিযানের বিষয়ে অসীম কুমার মন্ডল প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান যে পৃথিবীর সব থেকে উঁচু শৃঙ্গে তিনি পায়ে হেঁটে পৌঁছবেন এটাই তার কাছে সেরা প্রাপ্তি।