জেলা

দ্বিতীয়বারের জন্য রাজ্যসভায় যাচ্ছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, তবে ঘাসফুলের প্রতীকে।

ডিজি বাংলা ৭ ডিসেম্বর: রাজ্যসভার উপনির্বাচনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলো তৃণমূল কংগ্রেস। জহর সরকারের বদলি প্রার্থী হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম চূড়ান্ত করলো তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
“আসন্ন রাজ্যসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। ওঁকে আমরা আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করব উনি রাজ্যসভায় তৃণমূলের যোগ্য উত্তরাধিকার বহন করবেন। প্রত্যেক ভারতীয়ের অধিকারের কথা বলে যাবেন।” এমনই একটি পোস্ট ভেসে ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর পরপরই সোস্যাল মিডিয়াতে লেখেন “ঋতব্রত এই মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। রাজ্যজুড়ে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করা ও ট্রেড ইউনিয়নের কর্মীদের জন্য তিনি নিরলস পরিশ্রম করেছেন। সময় লাগতে পরে। কিন্তু পরিশ্রমের দাম সবসময়ই পাওয়া যায়।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,আরজিকর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুনী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের প্রতিবাদে যখন বাংলার চিকিৎসক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে মুখর, সেই আবহে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার এই ঘটনার দায় রাজ্য সরকারের উপর চাপিয়ে পদত্যাগ করেন। জহর  সরকারের ছেড়ে যাওয়া আসনে রাজ্যসভায় আসছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হবার পর পরই ঋতব্রত সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সহ পোস্ট করেন ”তব চরণে নত মাথা”।
সুবক্তা হিসেবে পরিচিত ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগেও একবার রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। কিন্তু ২০১৭ সালে মহিলা ঘটিত একটি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে পড়লে সিপিএম তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। এরপর তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং ২০২১ সালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মনোনীত হন। অনেকেই ভেবেছিলেন ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে তাকে দল মনোনয়ন দেবে। কিন্তু সেটিই হয়নি। কেন হয়নি সেটা এতদিনে বোঝা গেল। ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ পর্যন্ত সংসদে গেলেন। তবে লোকসভার সদস্য হিসাবে নয়,রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button