লরির চাকায় পিষ্ট হয় প্রাণ হারালো ১২ বছরের কিশোরী
ডিজি বাংলা ২৬ নভেম্বর ২০২৪: “সেফ ড্রাইভ,সেভ লাইফ” এটা কি শুধু কথার কথা? যদি তাই না হবে তাহলে প্রতিদিন কেন রাজ্যে অসংখ্য মানুষ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে? চোখের সামনে একটা বাচ্চা মেয়ে গাড়ি চাপা পড়ে মারা গেল, ট্রাফিক পুলিশ নির্বিকার। সেক্ষেত্রে যদি সাধারণ মানুষ উত্তেজিত হয়,সেটা কি খুব অপরাধ? এক্ষেত্রে ওই উত্তেজিত মানুষের উপরে পুলিশের লাঠি চালনা কতটা যুক্তিযুক্ত? এই প্রশ্নগুলো আসছে এই কারণেই যে গতকাল সন্ধ্যায় কৃষ্ণনগর শহরের রাস্তায় লরির চাকায় পিষ্ঠ হলো এক ১২ বছরের নাবালিকা।
শহরের বাসিন্দা নিলুফা খাতুন (১২) মামার কাছে বায়না করেছিল নতুন জুতো কেনার। মামার সাথে গিয়েছিল স্কুটি করে জুতো কিনতে। কিন্তু জুতো কিনে আর তার বাড়ি ফেরা হলো না। এক ঘাতক লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে অকালে ঝরে গেল নীলুফার ফুলের মত নিষ্পাপ জীবন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী লরিটা দুর্বার গতিতে ছুটে এসে ধাক্কা মারে নীলুফারের মামার স্কুটিতে। দুজনেরই রাস্তার উপর লুটিয়ে পড়ে। লরিটি নিলুফারের দেহের উপর দিয়ে চলে যায়। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে নিলুফারকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
থেঁতলানো অবস্থায় বাচ্চা মেয়েটির দেহ রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকার কারণে উত্তেজিত হয়ে ওঠে এলাকার মানুষজন। তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে পুলিশ অকারণে তাদের উপর লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ স্থানীয় দোকানদার সহ এলাকার মানুষের।