বাংলাদেশের ঘটনার প্রভাব পড়ল নবদ্বীপের শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মন্দিরে
ডিজি বাংলা ৯ ডিসেম্বর ২০২৪: বাংলার ভক্তি আন্দোলনের প্রাণপুরুষ বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর লক্ষ লক্ষ ভক্ত ছড়িয়ে রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। এই ভক্তদের ইচ্ছানুসারে প্রতি বছর চৈতন্য মহাপ্রভুর চরণ পাদুকা নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশে। মহাপ্রভুর এই চরণ পাদুকা দুটি রাখা আছে নবদ্বীপের শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মন্দিরে।
মহাপ্রভুর এই চরণ পাদুকা নিয়ে ছোট্ট একটি গল্প আছে। পত্নী বিষ্ণুপ্রিয়াকে ত্যাগ করে সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করেন গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু। স্বামী বিরহে কাতর হয়ে পড়েন স্বামী সোহাগিনী বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী। ধর্ম পত্নী বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর এই বিরহ মোচনের উদ্দেশ্যেই মহাপুরুষ শ্রীচৈতন্য তার ব্যবহৃত দুটি চরণ পাদুকা রেখে যান তার গৃহে। সেই চরণ পাদুকা জোড়া আজও ভক্তি ও নিষ্ঠা সহকারে পূজিত হয় শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মন্দিরে।
বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পুরাণের লক্ষ্যে মহাপ্রভুর এই চরণ পাদুকা প্রতিবছর দোলের আগে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশের কোন একটা অঞ্চলে। বিগত বছর এই পাদুকা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চট্টগ্রামে। এবারে কথা ছিল এই পাদুকা যাবে সিলেটে। দুদেশের পররাষ্ট্র সংক্রান্ত প্রটোকল মেনেই এই চরণ পাদুকা বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভক্তদের দ্বারা এই পাদুকা পূজিত হয়। তারপরে আবার মহাসমারোহে এই পাদুকা ফিরে আসে তার আপন মন্দিরে। এটাই প্রথা,এটাই রীতি।
কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের যা রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাতে এই বছর মহাপ্রভুর এই পবিত্র চরণ পাদুকা বাংলাদেশে যাবে না বলেই জানা গেল শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মন্দিরের মুল তত্ত্বাবধায়ক শ্রী শ্রী বিষ্ণুপ্রিয়া সমিতির কার্যালয় থেকে।