জেলা

শহরে রমরমিয়ে চলছে ভুঁইফোঁড় প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির ব্যবসা

ডিজি বাংলা ১০ ডিসেম্বর ২০২৪: শহরের আনাচে কানাচে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে বেসরকারি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি। এই সমস্ত ল্যাবরেটরিতে না স্থায়ী কোনো প্যাথলজিষ্ট না আছে কোন ল‌্যাব টেকনিশিয়ান।সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে রম রম করে চলছে এইসব ভুঁইফোড় রক্ত পরীক্ষা কেন্দ্র গুলি।
কি ভাবে ব্যবসা করে এই সব প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি গুলি? এই সমস্ত বেসরকারি ল্যাব গুলির অসংখ্য এজেন্ট( স্যাম্পল কালেক্টর) ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গ্ৰামে গ্ৰামে। ঐ সব এজেন্টরা ব্লাড স্যাম্পল কালেকশন করে নিয়ে আসে,জমা করে নির্দিষ্ট ল্যাবে। ঐ সমস্ত ল্যাবগুলি আবার চুক্তিবদ্ধ আছে বেশ কিছু ব্রান্ডেড ল্যাবরেটরির সাথে। আবার কোন কোন প্যাথলজিক্যাল ল্যাব কোন একজন প্যাথলজিস্টের আগাম স্বাক্ষর করা প্যাড  আপলোড করে রেখেছে কম্পিউটারে‌। বাইরের ল্যাব থেকে করিয়ে আনা রিপোর্ট কম্পিউটারে ফেলে প্রি-সাইনড প্যাডে প্রিন্ট করিয়ে রোগীর হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এভাবেই চলছে ভুঁইফোঁড় প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি গুলির ব্যবসা।‌ এই সমস্ত ল্যাবের মালিকেরা একশ্রেণীর অর্থলোভী ডাক্তারদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে জরম রম করে চালিয়ে যাচ্ছে এই ধরনের ভেজাল রক্ত পরীক্ষা কেন্দ্র।
এর পাশাপাশি বেশ কিছু নামিদামি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির ফ্রাঞ্চাইজি নিয়ে ব্যবসা করছে বেশ কিছু ল্যাবের মালিক।
সম্প্রতি এমনই একটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি থেকে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে সেই রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যায় জনৈক গৃহবধূ। রিপোর্ট দেখেই ডাক্তারবাবু বুঝতে পারেন এটি ভূয়ো রিপোর্ট। ওই ডাক্তার বাবু এবারে উল্লিখিত গৃহবধূকে একটি বিশেষ ল্যাবরেটরীতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখান থেকে রিপোর্ট করিয়ে তারপরে ওই গৃহবধূর চিকিৎসা শুরু হয়। এখন তিনি সুস্থ আছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল ওই ভুল রিপোর্টের ভিত্তিতে যদি কোন রোগীর চিকিৎসায় তাহলে সেই রোগীর পরিস্থিতি কি দাঁড়াতে পারে? কিভাবে,কোন পদ্ধতিতে,কাদের সহযোগিতায় এই সমস্ত ল্যাবরেটরি গুলো শহরের বুকে রমরমিয়ে  ব্যবসা করে যাচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button