নতুন বছরে উদ্বোধন হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির-এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
ডিজি বাংলা ১১ ডিসেম্বর ২০২৪: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর বৈশাখ মাসে শুভ অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে বলে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মুখ্যমন্ত্রী নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনে আসেন এবং মন্দিরের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন। মন্দিরের দ্বার সর্বসাধারণের জন্য কবে খোলা হবে এ সম্পর্কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন আগামী বছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন এই মন্দিরের উদ্বোধন হবে। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী দীঘায় এসে পৌঁছান। আজ বুধবার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে তিনি দীঘার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন এ বার থেকে রথযাত্রা শুরু হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির থেকে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন আগামী দিনে সারা ভারতের পর্যটক এবং ভক্তদের আলাদা করে নজর কাড়বে পুরীর আদলে তৈরি এই মন্দির। যদিও পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে এই মন্দিরের তুলনা টানতে তিনি রাজি নন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় “ওটা রাজাদের সময়কার। এটা সরকার করেছে। ভোগঘর, স্টোর রুম, গেস্ট রুম আলাদা আছে। সেল্ফ হেল্প গ্রুপের মেয়েদের ব্যবসা করার জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।”
কে বা কারা এই মন্দির দায়িত্বে থাকবেন সে বিষয়টিও পরিষ্কার করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন এই মন্দির পরিচালনার জন্য ১৩ সদস্যের একটি ট্রাস্টি বোর্ড বা অছি পরিষদ গঠন করা হয়েছে। এই ট্রাস্টি বোর্ড বা অছি পরিষদে থাকছেন পুরীর মন্দিরের পাঁচ জন, সনাতনী প্রতিনিধি হিসাবে চার জন এবং চার জন স্থানীয় পুরোহিত। ট্রাস্টি বোর্ডের নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। এছাড়াও এই মন্দির কমিটির সদস্য হিসাবে থাকছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, ইসকন ও সনাতন ধর্মের প্রতিনিধি এবং দিঘার জগন্নাথের মন্দিরের পুরোহিত। এক জন এডিএম (অতিরিক্ত জেলাশাসক) এই মন্দির-সহ পর্যটন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন।” মুখ্যমন্ত্রী নিজে ট্রাস্টি বোর্ডে থাকছেন না বলে স্পষ্ট করেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন তিনি আশা করেন ‘‘আগামী কয়েক হাজার বছর ধরে বাংলার সমুদ্রতীরে অন্যতম তীর্থধাম হবে এই জগন্নাথ মন্দির।’’ এই মন্দিরের নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে আড়াইশো কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান। পুরীর রথযাত্রার সময় একটি সোনার ঝাড়ু ব্যবহার করা হয়ে থাকে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান এবং সেই ঝাড়ু কেনার জন্য তিনি নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পাচ লক্ষ টাকা দেবার কথা ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান তিনি চান না এই মন্দিরে কোন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হোক। মন্দির সংক্রান্ত বিষয়ে সবকিছুই দেখভাল করবে ট্রাস্টি বোর্ড বা অছি পরিষদের সদস্যরা। তিনি শুধুমাত্র একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এই মন্দির নির্মাণের কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।