শুরু হতে চলেছে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেল লাইন পাতার কাজ
ডিজি বাংলা ১১ ডিসেম্বর ২০২৪: আজ সংসদে
প্রশ্নোত্তর পর্বে কৃষ্ণনগর লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেললাইন নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর কাছে জানতে চান। উত্তরে রেলমন্ত্রী বলেন বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছ থেকে জেনে তারপরে জবাব দেবেন।
জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগর থেকে প্রায় ৮০ কিমি দূরে অবস্থিত নদীয়ার প্রান্তিক জনপদ করিমপুর। বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রচুর চাষবাস হয় বিশেষ করে করিমপুর, নাজিরপুর, শিকারপুর, বেতাই, তেহট্ট ইত্যাদি। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেল লাইন চালু হলে তারা অনেক কম সময়ে রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় সবজি পৌঁছে দিতে পারবে এবং পরিবহন খরচ অনেক কম হবে। স্বাভাবিকভাবেই তারা বেশি লাভের মুখ দেখতে পাবে। কিন্তু স্বাধীনতার পর দশকের পর দশক কেটে গেছে তাদের সেই দাবি আজও পূরণ হয়নি।
করিমপুর এবং তৎসংলগ্ন এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রের বহু রেলমন্ত্রীর কাছে আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন কিন্তু কোন ফল লাভ হয়নি। মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রে রেলমন্ত্রী হলে কৃষ্ণনগর করিমপুর রেল লাইনের সমীক্ষার কাজে অর্থ বরাদ্দ করেন।
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় ব্রিটিশ আমলে ১৯০৫ সালে ইস্টার্ন বেঙ্গল স্টেট রেলওয়ে কোম্পানি প্রথম কৃষ্ণনগর-বহরমপুর ভায়া করিমপুর রেল লাইনের সমীক্ষার কাজ করে। তারপর একটা শতাব্দী অতিক্রান্ত হয়ে গেছে, কেউ ফিরে তাকায় নি। মহুয়া মৈত্র করিমপুরের বিধায়ক হওয়ার পর আবার নতুন করে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেল লাইন নিয়ে তদবির শুরু করেন। গত বছর ডিসেম্বর মাসে সমীক্ষার কাজ শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত তা অজানা কারণে থমকে যায়। আজ সাংসদ মহুয়া মৈত্র সংসদে সেই প্রশ্ন তুলে নতুন করে কৃষ্ণনগর করিমপুর রেললাইন পাতার কাজের প্রাসঙ্গিকতা ফিরিয়ে আনলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।