শহর

আর মাত্র সাত দিন বাকি,জগদ্ধাত্রী জ্বরে আক্রান্ত কৃষ্ণনগরবাসী

ডিজি বাংলা ৫ নভেম্বর ২০২৪: আর মাত্র সাত দিন বাকি। কৃষ্ণনগর আক্রান্ত জগদ্ধাত্রী জ্বরে। উত্তাপ ধীরে ধীরে বাড়ছে। রবিবারে পূজা কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে যাবে কাউন্টডাউন। কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পূজা একদিনের এবং সেটি হয় নবমীর দিন। অন্যদিকে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজা দুর্গা পূজার মতোই পাঁচ দিনের। আলোক সজ্জায় বরাবরই এক নম্বরে চন্দননগর। কিন্তু মূর্তি, মণ্ডপ এবং প্রতিমা সজ্জায় কৃষ্ণনগর বরাবরই শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা অর্জন করে এসেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। কৃষ্ণনগরের সেরা পূজা মন্ডপ গুলির কাজ প্রায় ৭৫ শতাংশ শেষ হয়ে গেছে। যেটুকু বাকি আছে আগামী দু দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে জানালেন বিভিন্ন পুজো কমিটির কর্তারা। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক পূজা হচ্ছে কৃষ্ণনগর শহরে। এই পূজা গুলির মধ্যে অন্ততপক্ষে ১৫ টি পূজা আছে যেগুলির থিম ভাবনা, মন্ডপ নির্মাণ এবং প্রতিমা সজ্জা দর্শনার্থীদের চোখ ধাঁধিয়ে দেবে, এমনটাই দাবি করছেন ওই সমস্ত পূজা কমিটির কর্মকর্তারা। বিভিন্ন বারোয়ারির জগদ্ধাত্রী মাতৃ মূর্তি এত সুন্দরভাবে এবং স্বর্ণালংকারে সাজানো হয় যা দেখলেই ভক্তি এবং আবেগে মাথা নিচু হয়ে আসে। চাষা পাড়ার জগদ্ধাত্রী প্রতিমা,যা মূলত “বুড়িমা” নামে খ্যাতি অর্জন করেছে সেই প্রতিমা নির্মাণের কাজ ৯০ শতাংশ হয়ে গেছে এমনটাই জানালেন পূজা কমিটির সম্পাদক গৌতম ঘোষ। বাঘাডাঙ্গা বারোয়ারি,কাঁঠালপোতা বারোয়ারী,বউবাজার বারোয়ারি,গোলাপট্টি বারোয়ারি,মালোপাড়া বারোয়ারি, তাঁতিপাড়া বারোয়ারি,চকের পাড়া বারোয়ারি এই সমস্ত পুজো গুলি বারোয়ারি পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম সেরা পুজো। বেশকিছু ক্লাব দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে জগদ্ধাত্রী পূজা করে আসছে। বিশেষ করে স্বীকৃতি ক্লাব,অনন্যা ক্লাব, রেনবো ক্লাব,ঘূর্ণি ভাই ভাই সংঘ এই ক্লাব গুলির পূজা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও ব্যবস্থা থাকে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে শহরে, জেলার বাইরে থেকেও অসংখ্য মানুষ প্রতিমা এবং মণ্ডপ দেখতে আসে। দর্শনার্থীদের যাতে কোনো রকম সমস্যা বা অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে সমস্ত রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানালেন কৃষ্ণনগর পৌরসভার চেয়ারপারসন শ্রীমতি রীতা দাস। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে জগদ্ধাত্রী পূজা উপলক্ষে শহরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে শহরে প্রবেশের রাস্তা গুলিতে নাকা চেকিং শুরু করা হয়েছে বলে জানা গেল জেলা পুলিশ প্রশাসন সূত্রে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button