কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার দায়ে গ্রেফতার নদীয়ার বিজেপি নেতা
ডিজি বাংলা ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪: চার কোটিরও বেশি টাকা প্রতারণার দায়ে গ্রেপ্তার হলো নদীয়া জেলার বিজেপির যুব নেতা লিংকন বিশ্বাস।
নদীয়া সদর মহকুমার অন্তর্গত কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের চৌগাছা গ্রামের বাসিন্দা লিংকন বিশ্বাস বর্তমানে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক মন্ডল ২ এর যুব মোর্চার সভাপতি।
কেরলের বাসিন্দা এক মহিলাকে ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে প্রায় চার কোটিরও বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে লিংকনের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রের খবর কেরলের জোসেফ নামে এক বিধবা মহিলা এই লিংকনের প্রতারণার ফাঁদে পা দেয়। ওই মহিলার নামে মানব পাচারের অভিযোগ আছে এই মর্মে তার হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে তাকে ভয় দেখিয়ে তার অ্যাকাউন্ট থেকে এই টাকা প্রতারণা করে লিংকন এবং তার সহযোগীরা। শেষ পর্যন্ত মহিলা বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন। সাথে সাথে তিনি স্থানীয় থানায় জানালে পুলিশ তৎক্ষণাৎ তদন্ত নেমে পড়ে এবং মোবাইল ও অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে তারা পৌঁছে যায় কৃষ্ণগঞ্জের চৌগাছা গ্রামে। সেখান থেকেই নদিয়া জেলা পুলিশ এবং কেরল পুলিশ যৌথভাবে এই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে।
বিজেপি নেতার এই কুকর্ম প্রকাশ্যে আসার সাথে সাথেই সারা কৃষ্ণগঞ্জ জুড়ে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক চাপান উতর এবং রাজনৈতিক তরজা।
তৃণমূল কংগ্রেস,সিপিএম,কংগ্রেস সব দলই এই সুযোগ কাজে লাগাতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে।
জনৈক চৌগাছা বাসীর বক্তব্য, বেশ কয়েক মাস যাবৎ লিংকনের চলাফেরা এবং তার হাবভাব দেখে অনেকের মনেই সন্দেহ জাগতে শুরু করে। এলাকায় দেদার খরচা করতো। টাকাকে টাকাই মনে করত না। কোথা থেকে এত টাকা সে পাচ্ছে এই প্রশ্ন এলাকার মানুষের মনে আস্তে আস্তে জমতে শুরু করে। কিন্তু যেহেতু সে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি, সে কারণে কেউ তাকে ঘাটাতে সাহস পেত না। এমনকি স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীদের সাথেও তার যথেষ্ট দহরম মহরম ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এই গ্রেফতার প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার এসপি কে অমরনাথ বলেন,” ডিজিটাল আ্যরেষ্টের ভয় দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ছিল লিংকনের বিরুদ্ধে। একটি মামলার তদন্তে কেরল পুলিশ তার যুক্ত থাকার তথ্য পায়, সে কারণেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
লিংকন এর গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক বিজেপি।