ডিজি বাংলা ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪: চারিদিকে সাজো সাজো রব। রাত পোহালেই ভোট আর এই ভোটের তাপে মারাত্মক শীতেও ঘেমেনেয়ে একাকার ভোটার থেকে শুরু করে ভোট গ্রহণ কর্মী এবং বিভিন্ন দলের প্রার্থী সহ পুলিশ প্রশাসন। আগামীকাল ভোটগ্রহণ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বৃহত্তম গ্ৰামীন ব্যাংক কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাংকের। আর সেই ভোটের দামামা যেন বিধানসভা বা লোকসভা ভোটের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছে।
১০৮ টি পদের ডেলিগেট নির্বাচনের জন্য ভোট নেওয়া হবে। মোট ভোটার ৮০ হাজার ৪৮০ জন এবং এই ডেলিগেট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ৩৮১ জন প্রার্থী। ভোটগ্রহণ শুরু হবে সকাল ন’টায় এবং এই ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হবে বেলা দুটোর সময়। ভোট গ্রহণ শেষ হবার পর ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেই ভোট গণনার কাজ শুরু হবে। ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে রাজ্য পুলিশ এবং সেই সাথে এক কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী নিয়োগ করা হচ্ছে। রাজ্যে এই প্রথমবার কোন সমবায় নির্বাচনে জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
একদা এই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের সর্বেসর্বা ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা, বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদানের পর তাকে এই ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করা হয়। তারপর থেকেই এই ব্যাংক অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে আছে। কোন পরিচালন সমিতি নেই। ফলে ব্যাংকের স্বাভাবিক কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে। নতুন ঋণ দেওয়া যাচ্ছে না,সদস্য পদ নবীকরণ হচ্ছে না,নতুন করে শেয়ার হোল্ডার নেওয়া যাচ্ছে না এমনকি কোনরকম সিদ্ধান্ত গ্রহন করা যাচ্ছে না।শেষমেষ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আগামীকাল ১৫ ডিসেম্বর ভোট হতে চলেছে। সমবায় ইলেকশন কমিশন এই হাইভোল্টেজ ভোটের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। সেনসিটিভ কেন্দ্র গুলিতে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও থাকবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
