তিন দশক পর লাল পতাকায় সেজে উঠলো চৈতন্য ভূমি নবদ্বীপ
ডিজি বাংলা ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪: সাজো সাজো রব, চারিদিকে লাল পতাকা, যতদূর চোখ যায় শুধু লাল আর লাল। কৃষ্ণনগর নবদ্বীপ রোডের দু পাশ বিশেষ করে গৌরাঙ্গ সেতুর দুই দিক লাল পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।
তিন দশক পর গৌরাঙ্গ শহর নবদ্বীপে হতে চলেছে সিপিএমের জেলা সম্মেলন। সেই সম্মেলনকে সামনে রেখে বাংলার ভক্তি আন্দোলনের প্রাণপুরুষ শ্রী শ্রী চৈতন্যদেবের লীলাক্ষেত্র নবদ্বীপ ধাম সেজে উঠেছে লাল পতাকার সমারোহে।
নদীয়া জেলা সিপিএমের এবারের জেলা সম্মেলন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এবারে জেলা সম্মেলনের ২৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে অর্থাৎ এবারের জেলা সম্মেলন হল রজত জয়ন্তী বর্ষ সম্মেলন।
দুদিনের এই সম্মেলনে প্রায় ৫০০’র কাছাকাছি প্রতিনিধি যোগদান করবেন।
ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিনিধিরা সম্মেলন স্থলে জমায়েত হতে শুরু করেছে। এই জেলা সম্মেলনে বিভিন্ন এরিয়া কমিটির নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যোগদান করেন এবং এরিয়া কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে জেলা কমিটি গঠিত হবে। শুধু কমিটি গঠন নয়,আগামী দিনে দল কোন পথে চলবে, কিভাবে আন্দোলন সংগঠিত হবে, জাতীয় স্তরে এবং রাজ্য স্তরে দলের চিন্তা ভাবনা কি হবে সেই সমস্ত বিষয়েও আলোচনা হবে বলে জানালেন জেলার সিপিএমের এক শীর্ষ স্তরের নেতা।
সিপিএমের রাজ্য কমিটির সম্পাদক মোঃ সেলিম এই জেলা সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। পাশাপাশি রাজ্য স্তরের অনেক নেতাই এই সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তাদের রাজনৈতিক বক্তব্য পেশ করবেন, এমনটাই জানালেন সিপিএমের জেলা সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সম্পাদক।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের দুর্দিন চলছে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে সিপিএমের সাফল্য তো দূরের কথা ধীরে ধীরে পায়ের নিচের মাটি আরো সরে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কি লোকসভা কি বিধানসভা কোন জায়গাতেই তাদের কোন প্রতিনিধি নেই। গুটি কয়েক গ্রাম পঞ্চায়েত আর কয়েকটি পঞ্চায়েত সমিতি নিয়ে আগামী দিনে যে লড়াই করা যাবে না সেটা কিন্তু সিপিএম স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে । তাই নতুন করে তারা তাদের সংগঠন সাজাতে চাইছে। পুরনো ধ্যানধারণা থেকে বেরিয়ে এসে দলের আধুনিকীকরণ না করলে আগামী দিন দল যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে সেটা অনেকটাই অনুভব করেছে আজকের প্রজন্মের সিপিএমের নেতৃত্ব। ফলে তরুণদের হাতে নেতৃত্ব সপে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে বঙ্গ সিপিএম। এখন দেখার এ কাজে কতখানি সাফল্য লাভ করতে পারে জেলা সিপিএম নেতৃত্ব।।