রাজ্য

ফোর্ট উইলিয়ামে পালিত হল বিজয় দিবস,উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী

ডিজি বাংলা ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানের ৯৩ হাজার সেনা এবং এই আত্মসমর্পণের সাথে সাথেই শেষ হয় তৃতীয় পাক-ভারত যুদ্ধ। যদিও এই যুদ্ধ প্রথমে সরাসরি পাকিস্তানের সাথে ভারতের শুরু হয়নি কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধ পাক-ভারত যুদ্ধে পরিণত হয়। এই দিনটিকেই বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী বিজয় দিবস হিসাবে পালন করে। এদিন ভারতীয় সেনার  ইস্টার্ন কমান্ডের সদর দপ্তর ফোর্ট উইলিয়ামে বিশেষ শ্রদ্ধা সহকারে এই দিনটিকে উদযাপন ও পালন করা হয়।বিজয় দিবস মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রামচন্দ্র তেওয়ারি, বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান তথা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আমিনুর রহমান এবং মুক্তিযোদ্ধা তথা প্রাক্তন লেফট কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলি জাহির প্রমূখ।
মুখ্যমন্ত্রী তার সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অনস্বীকার্য। পাশাপাশি তিনি একথাও স্মরণ করিয়ে দেন অধুনা বাংলাদেশে যা হচ্ছে সেই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়। সুতারাং বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন হলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন মনে করেন না। এ বিষয়ে যা বলবার কেন্দ্রীয় সরকার বলবে।
এদিনের বিজয় দিবসে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৯  জনের একটি প্রতিনিধি দল যোগদান করে এবং তারা প্রত্যেকেই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য। উপস্থিত প্রতিনিধি দলের প্রত্যেকেই ভারত এবং বাংলাদেশের সুসম্পর্কের বিষয়টির উপরে জোর দেন এবং আশা প্রকাশ করেন ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক বিগত দিনের মতোই অটুট থাকবে।
এদিনের বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী রেসকোর্সের মাঠে পৌঁছে প্রথমেই ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতের শহীদ-সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তাদের আত্ম বলিদান এর কথা বলতে গিয়ে অনেকটাই আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের সেনাবাহিনী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ত্যাগের জন্য আমরা চির কৃতজ্ঞ।” তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দেন বাংলাদেশের বিষয়টি সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক বিষয় সুতরাং ভারত সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে যা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সর্বতোভাবে সেই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button