কৃষ্ণনগরের “পথ সাথী” পরিণত হয়েছে ভূতের বাড়িতে
ডিজি বাংলা ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪: ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বভার গ্রহণের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছু জনমুখী প্রকল্পের সূচনা করেন। এই সমস্ত জনমুখী প্রকল্পগুলির অন্যতম একটি প্রকল্পের নাম ছিল “পথের সাথী”। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল জাতীয় সড়ক এবং রাজ্য সড়কের পাশে সরকারি খরচে পান্থশালা নির্মাণ করা যার নাম তিনি দিয়েছিলেন “পথের সাথী”। সেই “পথের সাথী” প্রকল্পের অধীনে ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে নদিয়া জেলায় পাঁচটি জায়গায় এই “পথের সাথী” নির্মাণ করার পরিকল্পনা গৃহীত হয়। তার মধ্যে অন্যতম একটি জায়গা ছিল কৃষ্ণনগর। কৃষ্ণনগর ছাড়াও হরিণঘাটা,শান্তিপুর, রানাঘাট এবং দেবগ্রামে এই প্রকল্প নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কৃষ্ণনগর পি ডব্লিউ ডি মোড়ের কাছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় নির্মিত হয় “পথের সাথী” পান্থশালা। যে সমস্ত যাত্রীরা দূরের রাস্তা অতিক্রম করবেন তাদের জন্যই নির্মাণ করা হয়েছিল এই পান্থশালা। মূল উদ্দেশ্য ছিল স্বল্প মূল্যে রাত্রি বাস সেই সাথে টয়লেট,প্রতীক্ষালয় এবং অল্প মূল্যে খাবারের ব্যবস্থা।
কৃষ্ণনগর ১ নং ব্লকের অধীন স্বনির্ভর গোষ্ঠী গুলি দিয়ে এই পান্থশালা পরিচালনা করার পরিকল্পনা গৃহিত হয়। কয়েক বছর এই পান্থশালাটি চালু ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই “পথের সাথী” পান্থশালার পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। বিল্ডিংটা শুধু দাঁড়িয়ে আছে। লাইট নেই,দরজা জানলা প্রায়ই ধ্বংসের মুখে, লতা গুল্ম প্রাচীর বেয়ে উঠে বাড়িটিকে প্রায় খেয়ে ফেলেছে। দেখলে মনে হবে কোন পরিত্যক্ত ভূতের বাড়ি। অসামাজিক কাজকর্মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে এই সরকারি বাড়ি।সরকারি খরচে মাত্র ১০ বছর আগে নির্মিত বাড়িটির অবস্থা দেখে কেউ বলবেনা এখানে একদিন একটি পান্থশালা ছিল। শুধুমাত্র প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পের সলিল সমাধি ঘটেছে।