জেলা

“সেভ জলঙ্গি”র ডাকে পোস্ট অফিস মোড়ে শুরু হলো পরিবেশ পথসভা

ডিজি বাংলা ২০ ডিসেম্বর ২০২৪: নদীয়া জেলার নদ-নদী,খাল,বিল,জলাশয় সহ সামগ্রিক পরিবেশ রক্ষার্থে “সেভ জলঙ্গি” সহ বিভিন্ন পরিবেশ রক্ষাকারী সংগঠন তিন দিনব্যাপী পরিবেশ পথসভা শুরু করল কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিসের মোড়ে। এই পরিবেশ পথসভা চলবে আগামী রবিবার পর্যন্ত।
“সেভ জলঙ্গি” সংগঠনের কর্ণধার তথা সভাপতি শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক শ্রী যতন রায়চৌধুরী এই পরিবেশ পথসভার উদ্দেশ্য,লক্ষ্য,গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে বলেন,নদীমাতৃক নদীয়ার অসংখ্য নদী গুলির মধ্যে অন্যতম নদী জলঙ্গি। জলঙ্গি নদী ধীরে ধীরে তার নাব্যতা হারিয়ে ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলেছে। এই নদীকে যদি এখনই বাঁচানো না যায় তাহলে পরিবেশের পক্ষে সেটা ভীষণ বিপদজনক হবে। শুধু সেভ জলঙ্গি নয়,পাশাপাশি নদীয়া জেলার বিভিন্ন খাল,বিল, এবং জলাশয় রক্ষার জন্য “সেভ জলঙ্গি”র সাথে অন্যান্য বেশকিছু পরিবেশবাদী সংগঠনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
পথসভা প্রতিদিন শুরু হবে বেলা তিনটের সময় এবং চলবে সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন পরিবেশ সংগঠনের সদস্যরা সাইকেল  র‍্যালি  করে পরিবেশ সচেতনার বার্তা নিয়ে এই পরিবেশ পথসভায় অংশগ্রহণ করবেন। সেই সাথে বিভিন্ন পরিবেশবাদী ব্যক্তিত্ব এই পথসভা থেকে পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন। পাশাপাশি বেশ কিছু সংগঠনের তরফ থেকে পরিবেশ নির্ভর সঙ্গীতানুষ্ঠান এবং নৃত্যানুষ্ঠানও পরিবেশিত হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে জলঙ্গি নদী যে নদীর উৎস পদ্মা নদী। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থেকে নদীয়ার নবদ্বীপ, প্রায় ২২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী। এই নদীকে করিমপুর,বেতাই, তেহট্ট,পলাশীপাড়া,কৃষ্ণনগর সহ পার্শ্ববর্তী জনপদ গুলির জীবন রেখা বলা যেতে পারে। সেই নদী আজ নাব্যতা হারিয়ে স্বাস্থ্য হীনতায় ভুগছে। কোথাও কোথাও নদী তার  বিস্তৃতি হারিয়ে “সোতায়” পরিণত হয়েছে। অবিলম্বে এই নদীর সংস্কার না হলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে এমনটাই মনে করছেন নদী বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি কৃষ্ণনগরের বুক চিরে প্রবাহিত হতো অঞ্জনা নদী। সেই নদী আজ খাল নয় নিকাশি নালায় পরিণত হয়েছে। সেই নদী চুরি হয়ে গেছে। পরিবেশবিদরা লড়াই করছেন সেই অঞ্জনা কে ফিরিয়ে আনার জন্য। এই সমস্ত দাবি নিয়েই তাদের এই পরিবেশ পথসভা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button