রাজ্য

দিনের পর দিন জলাভূমি বুজিয়ে নির্মাণ হচ্ছে বাড়ি অথচ প্রশাসন নির্বিকার

ডিজি বাংলা ২০ ডিসেম্বর ২০২৪: কোথাও জলাশয় বুজিয়ে বাড়ি নির্মাণ, কোথাও জলাশয়ের ধার ঘেঁষে কংক্রিটের নির্মাণ, আবার কোথাও নদীর পাড় কেটে পুকুর তৈরি, এই সমস্ত যেন বেআইনি কাজ আজকাল আর কেউ বেআইনি মনে করে না। নদীয়া জেলার সর্বত্র এমন ঘটনা প্রতিদিন ঘটেই চলেছে। সম্প্রতি তেমনই কিছু বেআইনি কার্যকলাপের সাক্ষী থাকলো ডিজি বাংলার প্রতিনিধিরা। কিছুদিন আগে চাপড়া বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন দ্বীপচন্দ্রপুর মৌজায় একটি পুকুর বুজিয়ে একাধিক বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ ওঠে এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওই সমস্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা জমিটির শ্রেণী চরিত্র পুকুর হওয়া সত্ত্বেও সেখানে মাটি ফেলে ওই পুকুর বুজিয়ে বাড়ি নির্মাণ করছে। এ বিষয়ে চাপড়া ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার কার্যালয়ে অভিযোগ জানানোর পর লোক দেখানো তদন্ত হয়েছে শুধুমাত্র। কিন্তু কোন পদক্ষেপ এখনো পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি। জেলা ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দপ্তর থেকে কাজটি বেআইনি বলে বিবৃতি দিয়ে দায় সারা হয়েছে।
সম্প্রতি আরেকটি অনুরূপ বেআইনি ঘটনা ঘটেছে কৃষ্ণনগর শহরের পাশে জলঙ্গী নদীর তীরে। অভিযোগ কৃষ্ণনগর পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর জলঙ্গী নদীর পাশে নদীর পাড় কেটে সেখানে জলাশয় তৈরি করছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হবার পর জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর এবং সেচ দপ্তর থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বিভিন্ন পরিবেশ বাঁচাও সংগঠন একযোগে এই বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। বিশেষ করে জলঙ্গি বাঁচাও সংগঠনের পক্ষ থেকে এই ঘটনার সুবিচার চাওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি চাকদা পালপাড়ায় একটি পুকুর ভরাট করে সেখানে অবৈধ নির্মাণ কার্য চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে চাকদা পৌরসভাতে অভিযোগ জানানো হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। চাকদা ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে জলাশয়ের পাশে কোনরকম স্থায়ী নির্মাণ করা যায় না। এ বিষয়ে তারা তদন্ত শুরু করেছেন। বিস্তারিত রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। কিন্তু প্রশ্ন কবে সেই তদন্তের রিপোর্ট আসবে? তারপরে ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।ততদিনে তো বাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এভাবেই চলছে, এভাবেই চলবে। যদিও গলা ফাটিয়ে যাচ্ছে পরিবেশবিদ এবং পরিবেশ বাঁচাও সংগঠনের সদস্যরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button