রাজ্য

একের পর এক নির্বাচনে হেরে দলের মধ্যে অনেকটাই কোণঠাসা শুভেন্দু অধিকারী

ডিজি বাংলা ২৩ ডিসেম্বর সোমবার: নিজের এলাকাতেই একেরপর এক নির্বাচনে পর্যুদস্ত হচ্ছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কদিন আগেই হয়ে গেল কাঁথি কো-আপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচন এবং সেই নির্বাচনে ল্যাজে গোবরে হয় শুভেন্দুর দল বিজেপি। ১০৮ আসন বিশিষ্ট কাঁথি কো-আপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনে শুভেন্দু অনুগামীদের মাত্র ৮ টি আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। গতকাল হয়ে গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডিপুর ব্লকের মুরাদপুর-হবিচক সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির প্রতিনিধি নির্বাচন। গণনার শেষে দেখা গেল ৪০ আসনের মধ্যে সমস্ত আসনেই জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা।এমনকি গত শনিবার এগরার জুমকি সমবায় সমিতির নির্বাচনে ১২ আসনের মধ্যে ১২ টিতেই জয় পেয়েছে তৃণমূল। অথচ বিজেপির দখলে রয়েছে জুমকি গ্ৰাম পঞ্চায়েত। এখান থেকেও শুন্য হাতে ফিরতে হলো শুভেন্দু অধিকারীকে। উল্লেখ্য, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবং বিগত লোকসভা নির্বাচনে এই এলাকার প্রায় সমস্ত বুথেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীরা বিপুল পরিমাণ লিড পেয়েছিল। অথচ সেই সমস্ত এলাকার একচেটিয়া জয় পেয়েছে তৃণমূল।
নিজের জেলায় এইভাবে দলের বিপর্যয়ে শুভেন্দুর নেতৃত্ব নিয়ে জেলা নেতৃত্বের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কানাঘুষো তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে রাজ্য স্তরে শুভেন্দুর পরিস্থিতি কিছুটা হলেও সংকটজনক। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও শুভেন্দুকে সেভাবে আর ভরসা করতে পারছে না। আগামী বছর জানুয়ারি মাসের পর রাজ্যে বিজেপি নতুন সভাপতি নির্বাচিত হবে। সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। শুভেন্দু অধিকারী সেই দৌড়ে থাকলেও অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। বরং বলা যেতে পারে এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দৌড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর দিলীপ ঘোষ যদি বঙ্গ বিজেপির সভাপতি হয় সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনেকটাই অন্ধকারাচ্ছন্ন হবে। কারণ রাজনৈতিক মহলের সকলেই জানেন দিলীপ ঘোষের সাথে শুভেন্দু অধিকারীর অম্ল মধুর সম্পর্কের কথা। এখন পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে বঙ্গের রাজনৈতিক মহল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button