জমজমাট কালীপুজো। আলোর উৎসবে মাতল আট থেকে আশি

ডিজি বাংলা ১ নভেম্বর ২০২৪: সারা বাংলা জুড়ে চলছে এখন উৎসবের মরশুম। শারদীয়া দুর্গোৎসবের পর কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা। তারপর কালীপূজা,দেওয়ালি, আলোর রোশনাই। মেতে উঠেছে সারা বাংলা। আট থেকে আশি সবাই আনন্দে মাতোয়ারা। সন্ধ্যা থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে। প্রতিমা সজ্জা থেকে শুরু করে থিম,প্যান্ডেলের কারুকার্য সবকিছুই চোখে পড়ার মতো। কৃষ্ণনগরের যে পূজা মণ্ডপগুলি এবার দর্শকদের নজর কেড়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো মোংলা পাড়া মাঠের ইউএসএ স্টেট বিল্ডিং এর আদরে তৈরি সুদৃশ্য একটি অট্টালিকা। স্টেশন সংলগ্ন মাঠে নির্মিত হয়েছে গুজরাটের নীলকন্ঠ ধাম মন্দিরের আদলে তৈরি বিশাল মণ্ডপ। শহরে কেন্দ্রস্থলে চ্যালেঞ্জ মোড়ে তৈরি হচ্ছে সুদৃশ্য মন্ডপের পাশাপাশি বিশালাকার মাতৃমূর্তি। অন্যান্য যে সকল পূজা গুলি দর্শকদের বিশেষ নজর কেড়েছে তার মধ্যে রয়েছে প্রীতি সম্মিলনী,ভয়ংকরী মাতা,মহাদেবতা,পাগলী মা,রক্ত জবা,ক্ষেপীমা এই সমস্ত পূজা মন্ডপ গুলির প্রতিমা। যদিও কৃষ্ণনগরের মানুষ অপেক্ষা করে আছে জগদ্ধাত্রী পূজার জন্য। কৃষ্ণনগর মূলত জগদ্ধাত্রী পূজার জন্য বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে এই শহরে যে পূজার প্রচলন হয় সেই ঐতিহ্য এবং পরম্পরা এখনো ধরে রেখেছে কৃষ্ণনগরের মানুষ। তবে এ কথা অনস্বীকার্য কালী পূজা বা শ্যামা পূজায় কৃষ্ণনগরের মানুষ সমভাবে আনন্দে মাতোয়ারা হয়। আলোর উৎসবে অন্ধকারকে সরিয়ে দিয়ে হাজার হাজার মানুষ পথে নেমেছে আনন্দ করতে। যদিও নিষেধাজ্ঞা আছে তা সত্ত্বেও শব্দ দানব কিন্তু রয়ে গেছে সর্বত্র। প্রশাসন সতর্ক থাকলেও তারই মাঝে ঘটেছে শব্দবাজির যন্ত্রণা।