স্কুল শিক্ষায় শেষমেষ ফিরে এলো পাস-ফেল প্রথা
ডিজি বাংলা ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ২০২৪: শেষমেষ আবারও পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যাচ্ছে স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থা। আগামী শিক্ষা বর্ষ থেকে সারা দেশ জুড়ে পুনরায় চালু হচ্ছে পাশ-ফেল প্রথা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১০ সালে ইউপিএ (দ্বিতীয়) সরকারের আমলে “শিক্ষার অধিকার” আইনের ভিত্তিতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাশ-ফেল প্রথা তুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে স্কুল শিক্ষায় পাশ-ফেল প্রথা চালু করার দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। ২০১৯ সালে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার “শিক্ষার অধিকার” আইনে পাশ-ফেল সংক্রান্ত ধারায় কিছু সংশোধন করে। এই সংশোধনীর ফলে রাজ্যগুলি পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণীতে পাশ-ফেল ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার অধিকার পায়।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং ঐ পরীক্ষায় পড়ুয়াকে অবশ্যই কৃতকার্য হতে হবে।
ঐ নির্দেশিকায় আরোও বলা হয়েছে যদি কোন পড়ুয়া বার্ষিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয় তাহলে তাকে উত্তীর্ণ হবার জন্য আরো দু মাস অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে। তারপরও যদি সে উত্তীর্ণ না হতে পারে তাহলে তাকে সেই ক্লাসেই থেকে যেতে হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই পাশ-ফেল প্রথা চালু করার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুক তার এক্স স্যান্ডেলে মন্তব্য করেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা দপ্তর ২০১৯ সালে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২০২০ সাল থেকে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণীতে মূল্যায়নে কেউ পাস করতে না পারলে তাকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে আবার পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ জারি করে এবং তারপরেও যদি সে পাশ করতে না পারে তাহলে তাকে সেই ক্লাসেই থেকে যাবার কথা বলা হয়। সুতরাং কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের এই নির্দেশিকায় নতুনত্ব কিছু নেই। অন্যদিকে শিক্ষকদের একাংশ বলছেন ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্কুল শিক্ষায় এই নিয়ম অন্তর্ভুক্ত করা নির্দেশ জারি করলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি।