সাংবাদিক সম্মেলনে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

ডিজি বাংলা ১২ সেপ্টেম্বর: জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে আলোচনা ভেস্তে যাবার পর সাংবাদিক সম্মেলনে কি বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। আমার সরকারকে অনেক অসম্মান করা হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক কুৎসা, অপপ্রচার হয়েছে। মানুষ তিলোত্তমার বিচার চাইতে এসেছে। আশা করি মানুষ বুঝতে পারছেন ওরা বিচার চায় না। ওরা চায় চেয়ার।আমি মানুষের স্বার্থে পদত্যাগ করতে রাজি আছি। আমার মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাই না। আমি চাই তিলোত্তমা বিচার পাক। আমি চাই সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাক।
আর তা না হলে আপনাদের যেমন আন্দোলন আছে,পরিবারগুলো আমাদের কাছে কৈফিয়ৎ চাইলে দিতে হবে। সাধারণ মানুষ জবাব চাইলে আমরাও জবাব দেব। তৈরি আছি। ধৈর্য ধরাটাও একটা পরীক্ষা এতদিন ধৈর্য ধরেছি। আমরা তাও বলবো কাজে যোগ দিন। ওদের মধ্যে অনেকে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন।
দু-তিনটি গ্রুপ চাননি। আমাদের হাতে এসমা আছে। কিন্তু আমি মানবিক। দানবিকতার সাপোর্টার নই। আমি এমার্জেন্সির সমর্থক নই। আন্দোলনে আমার জন্ম হয়েছে। আমিও আন্দোলন করেছি। সেই সময় বামেদের কোন মন্ত্রী আমার সঙ্গে দেখা করেননি। আমি ১৪ দিন ধরণা করেছিলাম। সিঙ্গুরে কেউ আসেনি।”
“এসএসকেএম এ রোগির ক্যাথিটার বদল করা হয়নি। দু পা দিয়ে গল গল করে রক্ত বেরুচ্ছে। তাও কেউ নজর করেননি। বিক্রমের মা-ও তো কাঁদছেন। ওদের জন্য মোমবাতি জ্বালাবো না? আর কতজন এভাবে মারা গিয়েছেন। সেই তথ্য আমরা খুঁজছি। আমার হৃদয় কাঁদছে। চিকিৎসকদের আমরা ভগবান বলে মনে করি।
কিছু কিছু কাজ জরুরী পরিষেবা। আমরা ভেবেছিলাম ছোটরা এসে মনের কথা মনের ব্যথা জানাবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল রাজ্য সরকার যা চাইবে সিদ্ধান্ত নেবে। তারপরও আমরা বৈঠকের কথা বলেছি। পরপর তিনদিন অপেক্ষা করেছি।আমি দু’ঘণ্টা বসে আছি তাও আসেননি। আবার ক্ষমা করে দিলাম। কাজে ফিরুন? আর্ত রোগীদের বাঁচান। ডিজি ও মুখ্যসচিব কে বলে দিচ্ছি আলোচনা করতে চাইলে আবার বসুন। কিন্তু আমি আর নেই। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর কমন পিপল।”