এবার থেকে অনলাইনেই পাওয়া যাবে বিভিন্ন ধরনের শংসাপত্র, আর ঘুরতে হবে না পঞ্চায়েতের দরজায় দরজায়
ডিজি বাংলা ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪: পারিবারিক আয়ের শংসাপত্র হোক অথবা চরিত্রের শংসাপত্র হোক এই রকম আরো চারটি অর্থাৎ মোট ছটি শংসাপত্র পাবার জন্য এবার থেকে আর কাউকে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অথবা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি যেতে যেতে জুতোর শুকতলা নষ্ট করতে হবে না। এবার থেকে এই সমস্ত দরকারি কাগজপত্র গুলি পাওয়া যাবে অনলাইনের মাধ্যমে। নির্দিষ্ট একটা পোর্টালে গিয়ে কয়েকটি ক্লিক করলেই হাতে চলে আসবে এই সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। আগামীকাল থেকেই সারা রাজ্য জুড়ে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে চালু হচ্ছে এই পরিষেবা।
কিভাবে পাওয়া যাবে এই শংসাপত্র? এর জন্য আবেদনকারীকে প্রথমেই যেতে হবে পঞ্চায়েত দপ্তরের পোর্টালে। সেখানে “সিটিজেনস কর্নার”এ গিয়ে সংশ্লিষ্ট লিংকে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার সাথে বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় আপলোড করতে হবে।
এতদিন পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে এই সমস্ত শংসাপত্র প্রদানের দায়িত্ব ছিল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের হাতে। আর এই সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলি পেতে গেলে গ্রামের মানুষকে পঞ্চায়েতের দরজায় একাধিকবার যেতে হতো। কখনো প্রধানকে পাওয়া যেত না কখনো পঞ্চায়েত সচিব থাকত না কখনো বা পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক থাকে না। ফলে বিভিন্ন সময় ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে চাকরিপ্রার্থীদের ভীষণ সমস্যায় পড়তে হয়। এটা অনুভব করেই রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর অনলাইনের মাধ্যমে এই সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার ব্যবস্থা করল। রাজ্য গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তরের এমন সিদ্ধান্তে ভীষণ খুশি গ্রামীণ এলাকার ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে কর্ম প্রার্থীরা।
কিন্তু কিছুটা হলেও মুখ ভার হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শুরু করে গ্রামের নির্বাচিত সদস্যরা। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ডি জি বাংলার প্রতিনিধিকে জানালো যেভাবে রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত সদস্যদের হাত থেকে সমস্ত কিছু কেড়ে নিচ্ছে তাতে করে আগামী দিনে গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচিত সদস্যদের আর কোন মূল্যই থাকবে কিনা সন্দেহ আছে।