এবারের রাজ্য বাজেট গ্রামোন্নয়নের বাজেট
ডিজি বাংলা ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: বুধবার বেলা ৪ টার সময় আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্য বিধানসভায় ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জন্য রাজ্য বাজেট পেশ করলেন অর্থ দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে এটা রাজ্য সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলিকে বরাবর গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্য। সেই খাতে বরাদ্দ বাড়লো না কমলো, নতুন কোন প্রকল্প গ্রহণ করা হলো, কোন কোন খাতে কি পরিমান অর্থ বরাদ্দ করা হলো, এই সমস্ত কিছুই দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
উচ্চ শিক্ষা খাতে ৬৫ ৯৩.০৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। স্কুল শিক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে ৪১,১৫৩.৭৯ কোটি টাকা। ৭০ হাজার আশা কর্মী ও ১ লক্ষের বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের স্মার্ট ফোন দেবার প্রস্তাব রাখা হয়েছে এবারে রাজ্য বাজেটে। এই খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। নারী, শিশুবিকাশ এবং সমাজকল্যাণ বিভাগের জন্য বাজেটে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাদ্দের পরিমাণ ৩৮,৭৬২.০৩ কোটি টাকা। গঙ্গাসাগর সেতু চার লেন করার জন্য বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৪.৭৫ কিলোমিটার। বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে অতিরিক্ত ১৬ লক্ষ বাড়ি নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী এবং সেই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৯,৬০০ কোটি টাকা। বাজেটে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। নতুন প্রকল্পের নাম ‘নদী বন্ধন’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন রোধ করা হবে। বরাদ্দ করা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। পথশ্রী প্রকল্পে গ্রামে রাস্তা তৈরিতে ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে রাজ্য বাজেটে। রাজ্য বাজেটে ৫০০ কোটি বরাদ্দ ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’-এর জন্য
২ বছরের মধ্যে শেষ হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, জানালেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মোট প্রকল্প খরচ ১৫০০ কোটি টাকা। রাজ্য বাজেটে এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০০ কোটি।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA বাড়ল ৪ শতাংশ। ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৪ শতাংশ বর্ধিত DA পাবেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। রাজ্যের সরকারি কর্মীদের DA ১৪ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়াল ১৮ শতাংশ।
রাজ্যের জিএসডিপি ১৮ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলে বাজেট বক্তৃতায় জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজ্যের রাজস্ব ঘাটতি বেড়ে ৪৩,২৬১.৬৭ কোটি টাকা হয়েছে।২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৮১৯৭২.৩৩ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব বাজেটে।